হৃষীকেশ: সিলকিয়ারার সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১ জন শ্রমিক সবাই সুস্থ আছেন। তাঁরা যে কোনো সময়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। হৃষীকেশের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর (এআইআইএমএস) তরফে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ডা. রবিকান্ত সাংবাদিকদের বলেন, “তাঁদের সব রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে, তাঁদের এক্সরে করা হয়েছে, ইসিজিও হয়েছে। সব রিপোর্ট নর্মাল। তাঁরা শারীরিক ভাবে সুস্থ এবং চিকিৎসাগত দিক থেকে স্থিতিশীল। আমরা তাঁদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছি।”
হৃষীকেশ এআইআইএমএস-এর একজিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিইও অধ্যাপক মিনু সিং উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, “তাঁরা খুব স্বাভাবিক আছেন। আমরা তাঁদের রোগী বলারও পক্ষপাতী নই। তাঁরা একেবারে স্বাভাবিক, সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আচরণ করছেন। তাঁদের ব্লাড প্রেসার, শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্গান, অক্সিজেনেশন – সব স্বাভাবিক।”
ডা. রবিকান্ত বলেন, ১৭ দিন সুড়ঙ্গে আটকে থাকার পর ওই শ্রমিকদের বাইরে বের করে আনা হয়। ওঁদের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছেল। তাই তাঁদের দু’ সপ্তাহ পরে বাড়ির কাছাকাছি আর-এক বার চেক-আপ করে নিতে বলা হয়েছে।
“তাঁদের যে সব পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে বলা যায়, তাঁরা যে কোনো যেতে পারেন। সুড়ঙ্গে আটকে থাকলেও তাঁরা নিয়মিত খাবার পেয়েছেন। এঁদের বেশির ভাগই কমবয়সি, কেউ কেউ মাঝবয়সি। নিজেরাই নিজেদের ফিট রাখতে সাহায্য করেছেন”, বলেন ডা. রবিকান্ত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. রবিকান্ত বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ এইমস-এর ডাক্তাররা তাঁদের সঙ্গে টেলি-মেডিসিনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখবেন। তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেবেন।
উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের কী ভাবে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে সে সম্পর্কে রাজ্য সরকারগুলিই সিদ্ধান্ত নেবে বলে এইমস কর্তৃপক্ষ জানায়।
উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ১৫ জনই ঝাড়খণ্ডের এবং ৫ জন বিহারের। তাঁদের যে কোনো সময়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হতে পারে যে হেতু ওই দুই রাজ্যের নোডাল অফিসাররা হৃষীকেশেই রয়েছেন।
বাকি শ্রমিকদের মধ্যে ৮ জন উত্তরপ্রদেশের, ৫ জন বিহারের, ৩ জন পশ্চিমবঙ্গের, অসম ও উত্তরাখণ্ড থেকে ২ জন করে এবং ১ জন হিমাচল প্রদেশের। এঁদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধির।
আরও পড়ুন