নয়াদিল্লি: সনাতন ধর্ম নিয়ে তামিলনাড়ুর মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের ছেলে উদয়নিধি স্টালিনের মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক। শনিবার তিনি বলেন, সনাতন ধর্ম সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণার বিরুদ্ধে এবং অবশ্যই “নির্মূল” করা উচিত।
এমনকী, সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগের সঙ্গে তুলনা করেছেন স্টালিন-পুত্রের এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছেন বিজেপি নেতারা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই উদয়নিধির মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছে, “সনাতন ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো এবং তাই এটাকে নির্মূল করা উচিত। এ নিয়ে কোনো দ্বিমত থাকা উচিত নয়”। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এই মন্তব্য। অনেকে তামিলনাড়ুর মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার দাবিও তুলেছেন।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স (আগের টুইটার)-এর একটি পোস্ট লেখেন, “রাহুল গান্ধী ‘মহব্বত কি দুকান’-এর কথা বলেন কিন্তু কংগ্রেসের বন্ধু ডিএমকে-এর উত্তরসূরি সনাতন ধর্মকে নির্মূল করার কথা বলেন। কংগ্রেসের নীরবতা এই গণহত্যার আহ্বানকে সমর্থনই জানাচ্ছে। ইন্ডিয়া জোটকে এক বার সুযোগ দিলে ভারতবর্ষের সহস্রাব্দের পুরনো সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে”।
ঘটনায় প্রকাশ, লেখকদের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন উদয়নিধি। সনাতন ধর্ম সম্পর্কে তাঁর এহেন মূল্যায়নের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই ধারণা সভ্যতাকে পিছনের দিকে ঠেলে দেয়। জাতি ও লিঙ্গের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করে এবং এটি মৌলিকভাবে সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বিরোধী।
মালব্যের মন্তব্যের জবাবে তিনি লেখেন, “আমি কখনোই সনাতন ধর্মের অনুসারী লোকদের গণহত্যার ডাক দিইনি। সনাতন ধর্ম এমন একটি নীতি যা জাতি ও ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করে। সনাতন ধর্মকে উৎখাত করা মানবতা ও মানবিক সমতাকে সমুন্নত করে। আমার বলা কোনো কথা থেকেই আমি নড়ছি না। আমি নির্যাতিত ও প্রান্তিকদের পক্ষে কথা বলেছি, যারা সনাতন ধর্মের কারণে ভুগছেন”।
তিনি আরও বলেন, “আমি পেরিয়ার এবং অম্বেডকরের বিস্তৃত লেখাগুলি তুলে ধরতে তৈরি। তাঁরা সনাতন ধর্ম এবং সমাজের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর গবেষণা করেছিলেন। আমাকে আমার বক্তৃতার গুরুত্বপূর্ণ দিকটি দেখুন। আমার মনে হয়, সনাতন ধর্মের বিস্তার কোভিড-১৯, ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগের বিস্তারের মোই। যে সনাতন ধর্ম অনেক সামাজিক মন্দের জন্য দায়ী”।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: ভারতের ইনিংসের পর বৃষ্টির জন্য খেলা বাতিল, পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি