নয়াদিল্লি: শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলার রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। মথুরায় অবস্থিত প্রাঙ্গণের সমীক্ষা অনুমোদন করেছে উচ্চ আদালত। হিন্দুপক্ষের আবেদনে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট মসজিদের নীচে ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান রয়েছে। যার একাধিক নিদর্শনও রয়েছে। এসবই প্রমাণ করে যে মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দির।
বৃহস্পতিবার মথুরায় অবস্থিত শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির এবং শাহী ইদগাহ মসজিদের মধ্যে বিরোধের রায় শোনাতে গিয়ে বিতর্কিত জায়গা জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অ্যাডভোকেট কমিশনারের মাধ্যমে সমীক্ষা করার দাবিও মঞ্জুর করেছে আদালত।
এ দিন রায় দেওয়ার সময় হিন্দু পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। বিচারপতি মায়াঙ্ক কুমার জৈনের একক বেঞ্চ আজ (১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩) দুপুর ২টো নাগাদ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। তাঁর সিদ্ধান্তে, জ্ঞানবাপি বিবাদের আদলে, আদালত মথুরার বিতর্কিত জায়গাগুলির একটি সমীক্ষা করারও নির্দেশ দিচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা হবে অ্যাডভোকেট কমিশনারের মাধ্যমে।
হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের মতে, পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে এখানে একটি পদ্ম-আকৃতির স্তম্ভ রয়েছে যা হিন্দু মন্দিরগুলির বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়াও শেষনাগের একটি প্রতিরূপ রয়েছে। কৃষ্ণের জন্মের রাতে আবির্ভূত হয়ে তাঁকে রক্ষা করেছিলেন শেষনাগ ।
প্রসঙ্গত, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান ও তাঁর সঙ্গে ৭ জন এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। হিন্দুসেনার দাবি, সপ্তদশ শতকে শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে শাহি ইদগাহ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই মসজিদের অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে হিন্দুসেনার তরফে। আর তার জেরে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দাবি করা হয়েছে, ১৬৬৯-১৬৭০ সালে মুঘল আমলে সম্রাট ঔরাঙ্গজেব শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে কাতরা কেশবদেবের মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জমিতে এই মসজিদ গড়েন। যদিও হিন্দুসেনার সেই দাবি খারিজ করে মথুরা আদালত। পরে শাহি ইদগাহ মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দেয় মথুরার এক আদালত। এরপর এল এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই বড় বার্তা।
আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, “একজন অ্যাডভোকেট কমিশনারের মাধ্যমে শাহি ইদগাহ মসজিদের সমীক্ষার দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। এলাহাবাদ হাইকোর্টে সেই আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া কেমন ভাবে চলবে, সে ব্যাপারে ১৮ ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদের অনুমোদিত প্রবেশপত্র নিয়েই লোকসভায় তাণ্ডব! কে এই প্রতাপ সিমহা?