নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের দ্রুত শুনানিতে নারাজ বিচারপতি এএস ওকের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ।
কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, দেরিতে আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে বেঞ্চ।
বিচারপতি এএস ওকের বেঞ্চ জানায়, মূল বিষয়ে আদেশ ১৭ মে সংরক্ষিত ছিল। ওই বেঞ্চের একজন সদস্য বিচারপতি গত সপ্তাহে অবকাশকালীন বেঞ্চে ছিলেন। তখন কেন কেজরিওয়ালের আইনজীবী এই দাবি করলেন না? অবকাশকালীন বেঞ্চ কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করতে বলেছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। এই মামলায়, নির্বাচনী প্রচারের জন্য কেজরিওয়ালকে ১ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২ জুন তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
দিল্লির শাসক দল আপ সূত্রে জানা গিয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুরুতর কোনও অসুখে ভুগছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁর একাধিক উপসর্গ রয়েছে। যেগুলি অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন। ফলে অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে তাঁর পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছিল।
কেজরিওয়াল নিজের পিটিশনে দাবি করেছিলেন যে গ্রেফতারের পর তাঁর ওজন কমে গিয়েছে ৭ কেজি। শুধু তাই নয়, তাঁর কিটোনের মাত্রাও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, এই লক্ষণগুলি গুরুতর হতে পারে। ম্যাক্সের চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করেছেন। এখন পিইটি-সিটি স্ক্যান এবং অনেক পরীক্ষা করা দরকার। এমন পরিস্থিতিতে এই সব পরীক্ষা করতে ৭ দিন সময় চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।
গত ২১ মার্চ তথাকথিত দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে অর্থ পাচারের অভিযোগে ইডি গ্রেফতার করেছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে। এরপর তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। নিজের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সম্প্রতি, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য ১০ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২ জুন তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।