নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট শুনানি হল পঞ্চায়েত ভোটের মামলার। এ দিন বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে মামলা খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছিল, তা এদিন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বর্তমান পরিস্থিতি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ২০১৩, ২০১৮ হিংসার একটি পুরানো ইতিহাস রয়েছে। হিংসার পরিবেশে নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে হবে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, ‘‘আপনারা পাঁচ রাজ্য থেকে পুলিশ চেয়েছেন। আর হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে বলেছে। খরচ তো কেন্দ্র দেবে। আপনাদের অসুবিধা কোথায়? তা ছাড়া ভোটে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় বাহিনী হলে সমস্যা কোথায়?’’
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট সমর্থ। পুলিশকর্মী কম থাকায় অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ চাওয়া হয়েছে। সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পরিকল্পনা বদল করতে হবে। নির্বাচনের মুখে যা সমস্যার।’’ কিন্তু সেই যুক্তি ধোপে টিকল না।
এর আগে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখায় সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেই ভোট করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, কী কারণে বিতর্ক