নয়াদিল্লি: মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভের মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন (Parliament’s monsoon session)। ধারণা করা হচ্ছে, মণিপুরের পরিস্থিতি (Manipur situation) নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে সংসদ।
ইতিমধ্যে ১৫ জন বিরোধী সাংসদ মণিপুরে চলমান হিংসার ঘটনা নিয়ে একটি মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। সংসদের সমস্ত কাজ স্থগিত করে এবং আলোচনা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
বিরোধীরা দাবি করেছে, মণিপুরের বিষয়ে সংসদে একটি বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর একটি ভিডিও সামনে আসায় এবং ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় আজ ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। উঠেছে গণধর্ষণের অভিযোগ। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত চলছে।
পুরো ঘটনা নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতির দাবি করে, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যদি কথা না বলেন, তা হলে যে বিঘ্ন ঘটবে তার জন্য তিনি দায়ী থাকবেন। …’মন কি বাত’ যথেষ্ট হয়েছে, এখন ‘মণিপুর কি বাতে’র সময়”।
অন্য দিকে, মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, মণিপুরে দু’মাস ধরে চলছে হিংসা। সেখানে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুর-সহ সংসদে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত সরকার।
এ বারের বাদল অধিবেশন চলাকালীন ৩১টি বিল নিয়ে আসার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। সেগুলির মধ্যে এমন একটি বিল রয়েছে, যা অর্ডিন্যান্সকে প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে । এতে দিল্লিতে পোস্ট করা আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা পেতে পারে কেন্দ্র।
এই বিলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দিন ধরেই ময়দানে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বিরোধী দলগুলির সমর্থন আদায়ের জন্য প্রচার চালিয়ে আসছেন। এই বিল নিয়ে রাজ্যসভায় সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে প্রবল বিতণ্ডা বাঁধতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বলে রাখা ভালো, বিরোধী দলে ১০৫ জন সদস্য এই বিলের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: ‘আগে বালতি উল্টে দেখাক, তার পর সরকার’, বিজেপির দাবি নিয়ে কড়া জবাব মমতার