কলকাতা: ভোট-হিংসায় আহতদের দেখতে বুধবার এসএসকেএমে (SSKM) হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিকিৎসাধীনদের জন্য হরলিকস এবং ফল নিয়ে যান তিনি। প্রত্যেকের ভালো-মন্দ জিজ্ঞেসও করেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি নেতৃত্বকে কড়া ভৎর্সনা করেন মমতা।
আহতদের দেখে বাইরে এসে মমতা বলেন, “নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে অত্যাচার করেছে। ভোটে জিততে পারেনি বলে ছেলে-মেয়ে সমেত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। কালকে চারজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েছে। আরও ন’জনকে আমি দেখে এলাম”।
এ দিন আহতদের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়ে তিনি জানান, “সকল নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং একটি চাকরি প্রদান করা হবে”। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের জন্য আমরা দুঃখিত৷ মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে৷ সঙ্গে দেওয়া হবে হোমগার্ডের চাকরিও”।
ক’দিন আগেই বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ দাবি করেছে, আগামী পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে। সে প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “প্রথমে একটা বালতি উল্টোতে বলুন তারপর সরকার ফেলবে। কাজ নেই, কর্ম নেই, কাল থেকে তো থরথর করে কাঁপছে। বিজেপির একটাই কাজ কুৎসা রটাও আর হিংসা ছড়াও”।
সম্প্রতি, বিজেপির সভা থেকে তোপ কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “বাংলায় শাসকদল যেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করিয়েছে তাতে গণতন্ত্র চলতে পারে না। তৃণমূল সন্ত্রাস না করলে বিজেপি দশগুণ বেশি ভোট পেত। এদের ভাবনা এরা চিরস্থায়ী। কিন্তু কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি পাঁচ মাসের মধ্যে এই রাজ্যের সরকার পড়ে যাবে”। তাঁর তাঁর হুঁশিয়ারিতেই সায় দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
আরও পড়ুন: রোদ-বৃষ্টির খেলা, সঙ্গে গলদঘর্ম অবস্থা! আবারও ২১ জুলাই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা