রাজস্থান সফরে কংগ্রেসের অশোক গহলৌত সরকারকে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানকার সরকার শুধু জনগণকে লুটপাটের কাজ করছে। … কংগ্রেস শুধু মিথ্যা বলতে জানে।”
বিজেপির একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজস্থানে সরকার চালানোর নামে কংগ্রেস শুধু লুটের দোকান চালিয়েছে এবং মিথ্যার বাজার চালাচ্ছে”। তিনি বলেন, “রাজস্থানের ‘লাল ডায়েরি’ হল সেই মিথ্যার বেসাতির সর্বশেষ প্রকল্প। কংগ্রেস সরকারের কালো কাজ এই ‘লাল ডায়েরিতে’ লিপিবদ্ধ আছে। মানুষ বলছে, ‘লাল ডায়েরি’র পাতা খুললেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে”।
বিরোধী জোটের ‘ইন্ডিয়া’ নামকে আরও এক বার নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী স্লোগান দিয়েছিলেন- ‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো’ এবং ব্রিটিশদের ভারত ছাড়তে হয়েছিল। তেমনি আজকের স্লোগান হল- দুর্নীতি ছাড়ো ‘ইন্ডিয়া’, স্বজনপোষণ ছাড়ো ‘ইন্ডিয়া’, পরিবারতন্ত্র ছাড়ো ‘ইন্ডিয়া”।
বিরোধীদের নতুন জোটকে কটাক্ষ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এ দিন বলেন, তারা নিজেদের অতীতের অন্যায় আড়াল করার জন্য জোটের নাম ইউপিএ থেকে বদলে ইন্ডিয়া রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “কংগ্রেস এবং তার শরিকরা আগকার জালিয়াতি সংস্থাগুলির মতোই নিজেদের নাম পরিবর্তন করেছে। তারা নিজেদের নাম পরিবর্তন করেছে যাতে সন্ত্রাসের সামনে আত্মসমর্পণের দাগ মুছে ফেলতে পারে। তাদের পথ দেশের শত্রুর মতোই। নামের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ইন্ডিয়া শব্দটিও। এটা তাদের দেশপ্রেম দেখানোর জন্য নয়, দেশ লুট করার উদ্দেশ্য নিয়ে।”
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধী জোটকে একহাত নিয়ে বলেছিলেন, “বিরোধীরা ভারত নাম ব্যবহার করে নিজেদের কৃতিত্ব নিতে চাইছে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া- এগুলোতেও ইন্ডিয়া আছে। শুধু ইন্ডিয়া নামটি ব্যবহার করলেই সবকিছু হয়ে যাবে, এমন চিন্তাভাবনার মানে হয় না”।