দেহরাদুন: তুরপুনের মতো যে ড্রিলিং মেশিন কাজ করছে, সেই মেশিন বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ কাজ থামিয়ে দিয়েছিল। ড্রিলিং মেশিনে কিছু গণ্ডগোল দেখা দেওয়ায় এই বিপত্তি ঘটে। ফলে সিলকিয়ারা টানেলে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ আবার কিছুটা ব্যাহত হয়। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ আবার উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার কথা।
১৩ দিন হল সুড়ঙ্গে শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন। গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী থেকে জানকীচটির পথে বারকোটের কাছে সিলকিয়ারায় নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ ভেঙে পড়ায় ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। সে সময় থেকে তাঁদের উদ্ধারকাজ চলছে। আজ শুক্রবার তার ত্রয়োদশ দিন।
উদ্ধারকাজে তদারকি করার জন্য উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ঘটনাস্থলেই রাত কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভি কে সিং শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে জানিয়েছেন, “তুরপুনের মতো ড্রিলিং মেশিনটা শক্ত করে ওরে ভিতের ওপর ফিক্স করা হয়েছে। পাইপটার মুখের কাছে কিছু বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। ওটা কেটে পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। খুব কঠিন কাজ। তাই সময় লাগছে।”
ভাস্কর খুলবে বলেন, মাটি ভেদ করে যে রেডার রাখা আছে তা থেকে দেখা যাচ্ছে ধ্বংসস্তূপের পরবর্তী ৫ মিটারে কোনো ধাতব বাধা নেই। শুক্রবার সকাল ১১টা/সাড়ে ১১টা নাগাদ আবার ড্রিলিং-এর কাজ শুরু করা যাবে বলে ভাস্কর খুলবে আশা প্রকাশ করেন ভাস্কর খুলবে।
ভাস্কর খুলবের আশা, শুক্রবার সন্ধে নাগাদ আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করে আনা সম্ভব হবে। তাঁর কথায়, “পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো।”
আরও পড়ুন
উত্তরকাশী টানেল বিপর্যয়: সিলকিয়ারায় প্রস্তুত ৪১টা অ্যাম্বুল্যান্স, তৈরি হয়েছে ৪১ শয্যার হাসপাতাল