নয়াদিল্লি: গত বছর মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের অন্যতম দল শিবসেনায় চরমে ওঠে বিদ্রোহ। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেই জায়গায় বিজেপি-র সমর্থনে সরকার গড়েন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। মুখ্যমন্ত্রীও হন তিনি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নিজের পদ এবং তাঁর সরকার ধরে রাখতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্ট এ দিন বলেছে, গত বছরের জুন মাসে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য শিন্ডে এবং অন্য ১৫ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে না আদালত।
একই সঙ্গে উদ্ধবের সরকার পুনরুদ্ধারের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছে সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে পদত্যাগ করার পথ বেছে নিয়েছিলেন উদ্ধব। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি পদত্যাগ করার কারণে তাঁকে পুনর্বহাল করার প্রশ্ন নেই।
সর্বোচ্চ আদালত অবশ্য মহারাষ্ট্রের তৎকালীন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে। আদালতের মতে, উদ্ধব সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন হারিয়েছেন বলে উপসংহার টেনে তিনি (রাজ্যপাল) “ভুল” করেছিলেন।
গত বছর জুনে শিবসেনার বিধায়কদের ধাপে ধাপে ভাঙিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন শিন্ডে। বিজেপির সাহায্য নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরেকে। সে দিন শিন্ডে এবং তাঁর অনুগামী ‘প্রথম দফার বিদ্রোহী’ ১৪ শিবসেনা বিধায়কের সেই পদক্ষেপ ‘দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ’ ছিল কি না, সেটাই সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন। বলে রাখা ভালো, বিধায়ক হিসেবে শিন্ডেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তাঁকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে হতো। সেক্ষেত্রে তাঁর সরকার পড়ে যেত।
আরও পড়ুন: কর্নাটকের দখল নিতে পারবে কি কংগ্রেস? ত্রিশঙ্কু বিধানসভার পূর্বাভাস অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায়