নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে এমন এক মামলা উঠল যা নিয়ে আদালতে হইচই পড়ে যায়। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে একটি বিশেষ আবেদনের শুনানির সময় আদালতে হাজির হয় এক বালক। উল্লেখযোগ্য ভাবে, তারই ‘হত্যা মামলা’ সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
উত্তরপ্রদেশের পিলিভীতের ওই ১১ বছর বয়সি ছেলেটি শুনানির সময় বেঞ্চের সামনে হাজির হয়ে বিচারকদের উদ্দেশে বলে, আদালতে তার যে ‘খুন’-এর মামলার শুনানি হচ্ছে সেটা মিথ্যা। কারণ সে জীবিত রয়েছে।
ওই বালকের, তার দাদু এবং মামাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত তার বাবা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর, আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকার, পিলিভীতের পুলিশ সুপার এবং পুলিশ আধিকারিকদের নোটিশও জারি করেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময়, ছেলেটির আইনজীবী কুলদীপ জোহরি বলেন, ছেলেটি যে খুন হয়নি, অর্থাৎ সে জীবিত রয়েছে, সেটা প্রমাণ করতেই তাকে আদালতে হাজির হতে হয়েছিল। সে বেঁচে রয়েছে এবং বর্তমানে মৃত নয়। তিনি জানান, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ছেলেটি তার দাদুর সঙ্গে থাকত। ছেলেটির বাবা তার মাকে নির্মমভাবে মারধর করত এবং বাপেরবাড়ির লোকের কাছে আরও যৌতুক দাবি করত।
আইনজীবী আরও বলেন, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ছেলেটির বাবা তার মায়ের উপর হামলা করেছিলেন। আহত হয়ে মারা যান মহিলা। তাঁর মৃত্যুর পর, মৃতার দাদা আইপিসি ধারা ৩০৪-বি (যৌতুক মৃত্যু)-এর অধীনে এফআইআর দায়ের করেছিলেন জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এ দিকে জামাই নিজের ছেলের হেফাজত দাবি করলে দুই পরিবারের মধ্যে আইনি লড়াই শুরু হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে জামাই তাঁর শ্বশুর এবং তাঁর চার ছেলের বিরুদ্ধে ওই বালককে খুনের অভিযোগ এনেছিলেন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৩০২ (খুন), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো)-এর আওতায় মামলা নথিভুক্ত করেছে।