রবিবার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে রাজস্থান,মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গনা এবং ছত্তীসগঢ় বিধানসভা ভোটের। সোমবার জানা গিয়েছে মিজোরামের ভোট ফলাফল। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রথম শপথ গ্রহণ তেলঙ্গনায়। পর দিন মিজোরামে। কিন্তু রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ় নিয়ে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই তিন রাজ্যেই এ বার সরকার গড়ছে বিজেপি।
তেলঙ্গনা এবং মিজোরামের শপথগ্রহণের তারিখ প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে, যে বড় প্রশ্নটি উঠে আসে তা হল বাকি তিন রাজ্যে এত বিলম্ব কেন? কারণ, এই সমস্ত রাজ্যে প্রায় একই সময়ে নির্বাচন হয়েছিল। মিজোরাম বাদে চার রাজ্যে ভোট গণনা হয়েছিল একই দিনে। মিজোরামে পরের দিন ভোটগণনা হয়। তেলঙ্গনায় কংগ্রেস এবং মিজোরামে জেডপিএম সরকার গড়ছে। তা হলে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে সরকার গঠনে সমস্যা কী? বিজেপি এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেও এর পিছনের কারণ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছেই।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এবং এখানে সরকার গঠন করবে তারা। তবে নির্বাচনের ফলাফলের তিন দিন পরেও তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম নির্ধারণ করতে পারেনি বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল, এ বার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল গেরুয়া শিবির। মধ্যপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা (রমন সিং এবং বসুন্ধরা রাজে) থাকলেও তাঁরা নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। অর্থাৎ, দল যে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী করতে চায় না, তেমন ভাবনাও অমূলক নয়।
এ ছাড়াও বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক নির্বাচনের জন্য দলের একাধিক সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তাঁদের অধিকাংশই জয়ী হয়েছেন। তিনটি রাজ্যেই বিজেপির সামনে অনেক বড় বড় নাম রয়েছে, যেগুলির মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নেওয়া ততটা সহজ কাজ নয়।
সূত্র উদ্ধৃত করে এনডিটিভি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নতুন মুখ বেছে নিতে পারে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। সেকারণেই সম্ভবত কিছুটা সময় নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে এ ব্যাপারে সাড়ে চার ঘণ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে তিনটি রাজ্যের শীর্ষস্থানীয়দের নাম নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি প্রধান জেপি নড্ডা।
আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর সেই টানেলের দায়িত্ব পাবে এক বিশেষ সংস্থা, নীরবতা দুর্ঘটনায়