নয়াদিল্লি: মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধী বলেন, “আমার জীবনসঙ্গী (রাজীব গান্ধী) এই মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে এসেছিলেন। রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন এখন পর্যন্ত মাত্র অর্ধেক পূরণ হয়েছে। এই বিল পাশ হলেই তাঁর স্বপ্ন পূরণ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমিও এই বিল নিয়ে চিন্তিত। আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই, এই আইনের জন্য মহিলাদের আর কত বছর অপেক্ষা করতে হবে। এই বিল অবিলম্বে কার্যকর করা উচিত, তবে এর সঙ্গে সরকারকে কাস্ট সেন্সাস পরিচালনা করে এসসি, এসটি, ওবিসিদের জন্যও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।”
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “সিপিআই নেত্রী গীতা মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপি সাংসদ সুষমা স্বরাদ এই বিলের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। এখন এই ইস্যুতে কৃতিত্ব নিতে চান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এত বছর বিল আনেনি কংগ্রেস। এখন যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিল নিয়ে আসেন, তাহলে তাদের (বিরোধীদের) পেটে ব্যথা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই সংসদে বাংলার অনেক সাংসদ বসে আছেন। আমি তাঁদের বলতে চাই যে ফুটবলে, যে খেলোয়াড় গোল করেন তাঁর নামে গোল লেখা হয়। একই ভাবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী যদি বলের মতো বিলের গোল করে থাকেন, তবে তাঁরও কৃতিত্ব পাওয়া উচিত।”
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ইতিমধ্যে কংগ্রেস দাবি করেছে, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে হবে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, “রাজীব গান্ধী প্রথম ১৯৮৯ সালের মে মাসে পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলিতে এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল উত্থাপন করেছিলেন। এটি লোকসভায় পাশ হলেও ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্যসভায় উতরাতে ব্যর্থ হয়”। বলে রাখা ভালো, মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিলটি এখনও সক্রিয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এসেছে নতুন আহ্বান, তিক্ততা ভুলে এগিয়ে যেতে হবে’, নতুন সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বক্তৃতা