মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে তা নিশ্চত করতে স্কুলগুলিকে পরীক্ষার্থী পিছু ১০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। পড়ুয়াপিছু যে পরিমাণ অর্থ হবে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্কুল ফান্ডে। তবে টাকা অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বাজারে ১০ টাকায় কি কিছু হয়? তা নিয়ে ইতিমধ্যে স্কুলগুলির একাংশ প্রশ্ন তুলছে।
এই প্রশ্নেই উত্তর মধ্য শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চায় টিভি নাইন বাংলা। উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টিকে টাকার অঙ্কে না দেখে সামগ্রিক ভাবে বিষয়ের গুরুত্ব নিয়ে ভাবা উচিত।
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত লাগাতার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে উঠে আসা একটি প্রয়াস। এটি কোন একক সিদ্ধান্ত নয়। ২০২২ সালে থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র, অনলাইন সাবমিশন, শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাম্মানিক, মনিটারিং ব্যবস্থা আনা হয়েছে। এটাও সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ। আমরাই একমাত্র ভারতীয় বোর্ড যারা এই কাজটি করেছি।’
তিনি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘স্কুলে যদি ৫০০ পডুয়া থাকে তাহলে সেখানে স্কুল পাঁচ হাজার টাকা পাবে। স্কুল যদি মনে করে এই অনুদানের টাকা নানা কাজ করতে পারে।’
তিনি জানান, পর্ষদের পক্ষ থেকে ওই টাকা কোন খাতে খরচ করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। স্কুলগুলি তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের ওই টাকা তাদের কাছে লাগাতে পারবে।
যদিও শিক্ষাবিদদের একাংশ পর্ষদদের এই সিদ্ধান্ত কে কটাক্ষ করেছেন। টাকার অঙ্ক দেখে একে ‘ভিক্ষা’ বলছেন কেউ কেউ। শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায় টিভি নাইনকে বলেন বলেন, ‘এটা খুব লজ্জার কথা যে পর্ষদ ১০ টাকা করে দেওয়া হবে। এটা ভাবনার অতীত। আজকের দিনে ১০টাকায় কিছুক কোনও মূল্য নেই।’