কলকাতা: সোমবার বিকেলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। যার নেতৃত্বে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হয় এ দিন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেক জানিয়ে দিলেন, রাজ্যপাল ‘সৌজন্য’ দেখিয়েছেন। তাই তৃণমূল নেত্রীর পরামর্শে পাল্টা ‘সৌজন্য’ দেখিয়ে ধর্না তুলে নিচ্ছে তৃণমূল।
এ দিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে অভিষেকরা আবার চলে আসেন রাজভবনের বাইরের ধরনা-অবস্থান মঞ্চে। অভিষেক জানান, “তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, যেহেতু উনি (রাজ্যপাল) সৌজন্য দেখিয়েছেন, বাংলারও সৌজন্য দেখানো উচিত।’’ পাশাপাশি কেন্দ্রকে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক। জানালেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাংলার মানুষের দাবি নিয়ে পদক্ষেপ করা না হলে ১ নভেম্বর পথে নামবেন তাঁরা। তবে এ বার তাঁর নেতৃত্বে নয়, তৃণমূল পথে নামবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।
এ দিনের বৈঠক প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “রাজ্যপালকে আমরা বলেছি, আপনি ১০-১৫ দিন সময় নিন। প্রয়োজনে তিন সপ্তাহ সময় নিন। তিন সপ্তাহের মধ্যে আমাদের জানাতে হবে, কেন গরিব মানুষের একশো দিনের টাকা বিজেপি সরকার বন্ধ করে রেখেছে? আপনি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান। রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে এটা আপনার দায়বদ্ধতা যে বাংলার মানুষকে যদি ভাতে মারা হয়, তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা।”
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় রাজ্যের বঞ্চিতদের সমস্যা রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরবেন জানিয়ে আশ্বাস দেন। বৈঠকের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ান ধরেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে, তিনি দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রের কোন প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি কথা বলবেন, এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কাছে বাংলার বকেয়া ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে গত ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। গোটা আন্দোলন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে কৃষিভবনে অবস্থান শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় পুলিশ তাঁদের চ্যাংদোলা করে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর দিল্লিতে দাঁড়িয়েই ‘রাজভবন চলো’র ডাক দেন অভিষেক। এরপর গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজভবনের সামনে চলছিল ধর্না।
আরও পড়ুন: রকেট হামলায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০০, পাল্টা ইজরায়েলি সেনার হাতে নিহত ৪১৩ হামাস