কলকাতা: করোনাভাইরাসের পর এখন ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। পরপর শিশু মৃত্যু ঘটছে শহরে। জেলা থেকেও আসছে অ্যাডিনো উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর খবর। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে বহুবিধ পদক্ষেপ।

এর আগেই রাজ্য সরকার অ্যাডিনো পরিস্থিতিতে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল। সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত রাখতে ১০ দফা অ্যাডভাইসরি জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। এখন সরকারি হাসপাতালে শিশুচিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সব স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করেছে রাজ্য। প্রতীকী ছবি: রাজীব বসু

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় যাতে কোনো ভাবেই খামতি না থাকে এই বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে যাতে কারও কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেই জন্যই দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশ। প্রতীকী ছবি: রাজীব বসু

শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের কপালে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ছবি: রাজীব বসু

এ ধরনের ভাইরাস ঘটিত সংক্রমক সর্দি-জ্বরের বাড়বাড়ন্তের কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন দু’টি বিষয়কে। একটি মানুষের মাস্ক পরা বন্ধ করে দেওয়া। এবং দ্বিতীয়টি হল ইনফ্লুয়েঞ্জা স্ট্রেনের সম্ভাব্য পরিবর্তন। প্রতীকী ছবি: রাজীব বসু

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এখনও পর্যন্ত ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কো-মর্বিডিটি ১৩ জন এবং অ্যাডিনোয় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে”। তবে বেসরকারি মতে, এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। ছবি: রাজীব বসু

অ্যাডিনো সংক্রমিত শিশুদের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে বিসি রায় হাসপাতালে। ছবি: রাজীব বসু

রাজ্য সরকার আশা করছে, আগামী দেড়-দু’সপ্তাহের মধ্যে ভাল মতো গরম পড়ে গেলে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ এমনিতেই কমে আসবে। সরকারের জারি করা প্রেস বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, “বর্তমান সংক্রমণটি আদতে মরশুমি অসুখই।” ছবি: রাজীব বসু
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।