কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে নয়া চর্চা। পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যেই না কি রাজ্যে সরকার পড়ে যাবে। তেমনটাই ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া গোষ্ঠীর নেতা শান্তনু ঠাকুর। এ বার তাঁর হুঁশিয়ারিতেই সায় দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শনিবার গাইঘাটায় বিজেপির সভা থেকে তোপ কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “বাংলায় শাসকদল যেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করিয়েছে তাতে গণতন্ত্র চলতে পারে না। তৃণমূল সন্ত্রাস না করলে বিজেপি দশগুণ বেশি ভোট পেত। এদের ভাবনা এরা চিরস্থায়ী। কিন্তু কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি পাঁচ মাসের মধ্যে এই রাজ্যের সরকার পড়ে যাবে”।
রবিবার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বিজেপির দফতরের সামনেই শান্তনুর মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সুকান্তকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সরকার তো পাঁচ মাস ছ’মাস যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই। সরকার কী ভাবে চলে। বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়কেরা মনে করল আমরা সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। বিধায়কদের মনে হতেই পারে। না হওয়ার তো কিছু নেই। আমার এমন গণ আন্দোলন শুরু হল যে বিধায়কেরা বলল আমরা আজ থেকে আর বিধায়ক পদে থাকব না। হাত জোড় করে সবাই বিধায়ক পদ ছেড়ে দিল। এরকমও গণআন্দোলন হতে পারে।’’
তবে বিজেপি নেতাদের এমন হুঙ্কার-হুঁশিয়ারিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এরা তো ক্যালেন্ডার মেনে চলেন। এর আগেও তারিখ দিয়েছেন। এখনও দিচ্ছেন। সংবাদ মাধ্যমকে এঁরা দিন ভর বিস্ফোরক খবর সরবরাহ করে বেড়ান’’।
বলে রাখা ভালো, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ-সহ অনেক বিজেপি নেতাকে এ রকমই ডেডলাইন বেঁধে দিতে শোনা গিয়েছিল। তাঁরা বলেছিলেন ডিসেম্বরের (২০২২ সালের) মধ্যে রাজ্যের তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে। তবে ওই সময়ের মধ্যে তৃণমূল সরকার তো পড়েইনি, উল্টে সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল সাফল্য পেয়েছে শাসক দল!
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই বৃষ্টি! এক নজরে রবিবার আবহাওয়ার গতিবিধি