কলকাতা: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি।
শীর্ষ আদালতের কাছে বিজেপি বলেছে, কলকাতা হাইকোর্ট আমাদের কথা না শুনে একতরফা নির্দেশ দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অবিলম্বে বিষয়টির শুনানি হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে বিষয়টি সোমবার (২৭ মে, ২০২৪) শুনানির জন্য রাখা হবে।
কী বলেছিল হাইকোর্ট?
গত সোমবার বিজেপির বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নিষেধাজ্ঞাই বহাল রেখে দেয়।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না তারা। তবে সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়ে নির্দেশ প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনার আর্জি করতে পারবে বিজেপি।
কী যুক্তি দিল বিজেপি?
একক বেঞ্চ কোনও শুনানি ছাড়াই নির্দেশ দিয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও আবেদন করেছিল। তবে, এই যুক্তি খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের আদেশ বহাল রাখে।
কী আছে বিজেপির বিজ্ঞাপনে?
বিজেপির দুই বিজ্ঞাপনে আপত্তি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। সেগুলির একটিতে ‘দুর্নীতির মূল মানেই তৃণমূল’ এবং অন্যটিতে ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’ স্লোগান ছিল। এ ব্যাপারে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল বিজেপি, তা চূড়ান্ত অবমাননাকর।
বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে তৃণমূল। গত সোমবার তার শুনানি ছিল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। আদালত ওই বিজ্ঞাপনের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। যার ফলে আপাতত বিজ্ঞাপন দু’টি কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের এই বিজ্ঞাপনের উপর নিষেধাজ্ঞা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিজেপি এই বিজ্ঞাপনটি আর প্রকাশ করতে পারবে না।