Home খবর রাজ্য রাজনৈতিক মামলার ঢল নেমেছে হাইকোর্টে, উষ্মা প্রকাশ বিচারপতির

রাজনৈতিক মামলার ঢল নেমেছে হাইকোর্টে, উষ্মা প্রকাশ বিচারপতির

0

কলকাতা: একের পর এক রাজনৈতিক মামলায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালতে আরও হাজার মামলা রয়েছে। পরপর রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না, এমনই মন্তব্য বিচারপতির।

এমনিতে হাইকোর্টে রাজনৈতিক মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে যা যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। শুধু কি তাই, একই বিষয় নিয়ে হচ্ছে একাধিক মামলা। সবমিলিয়ে ‘পাহাড়প্রমাণ’ রাজনৈতিক মামলা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি।

কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ মামলার শুনানিতে উষ্মা প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সৌমেন্দুর মামলার কিছু ক্ষণ আগেই ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া নিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সেই মামলাও শুনেছিলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। তার পর সৌমেন্দুর মামলা উঠলে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি।

তিনি বলেন, “এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭-২৮টি মামলা। তার উপরে এইরকম আরও ১০টা মামলা এখনই আছে। শুধু রাজনৈতিক মামলাই শুনে যাব না কি?”

প্রসঙ্গত, সৌমেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ১৫ জুলাই পর্যন্ত রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন সৌমেন্দু-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যরা। ফের সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যকে বিচারপতির প্রশ্ন, “যখন ভোটের আগে এত রক্ষাকবচ দিয়েছিল আদালত, তখন রাজ্য কেন ডিভিশন বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্ট যায়নি? অভিযুক্তর ভোটের আগেও যে স্ট্যাটাস ছিল, ভোটের পরেও তাই। তখন যদি এ ভাবে রক্ষাকবচ দেওয়ায় রাজ্য সমর্থন করে, তাহলে এখন কীসের আপত্তি?”

বাস্তবিক ভাবে, এখন দেখা যাচ্ছে হাইকোর্টে রাজনৈতিক মামলার যেন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মিটিং-মিছিল অনুমতি চেয়ে মামলা, রাজনৈতিক নেতার রক্ষাকবচ সংক্রান্ত মামলা থেকে কারও কোনো মন্তব্য নিয়ে জনস্বার্থ মামলার বহরও বেড়েছে।

আরও পড়ুন: ‘৫ মাসের মধ্যে পড়ে যাবে তৃণমূলের সরকার’‌, শান্তনুর ‘গ্যারান্টি’তে সায় সুকান্তর

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version