Home খবর রাজ্য বিনীত গোয়েলরা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছেন, দাবি আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিকের

বিনীত গোয়েলরা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছেন, দাবি আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিকের

0

খবর অনলাইনডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের বিচার প্রক্রিয়ার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। দাবি করলেন, তাঁকে ফাঁসিয়েছেন কলকাতা পুলিশের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁর কথায়, ‘‘বিনীত গোয়েল আমাকে সাজিশ (ষড়যন্ত্র) করে ফাঁসিয়েছে!’

সোমবার শিয়ালদহ আদালতে নির্যাতিতার বাবা আর-এক প্রতিবেশী হাজির ছিলেন। অনুমান, তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সেই প্রক্রিয়া চলে। বিকেল ৫টার একটু পরে আদালত থেকে সকলকে বেরোতে দেখা যায়। যে হেতু আরজি কর মামলায় ‘ইন ক্যামেরা’ বিচার শুরু হয়েছে, সেই কারণে সকলেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। ব্যতিক্রম ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার!

আরজি কর মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত সপ্তাহে আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলায় চার্জ গঠনের পর শিয়ালদহ আদালত চত্বর থেকে প্রিজন ভ্যানে করে বেরোনোর সময় ঠিক যে ভাবে চিৎকার করতে দেখা গিয়েছিল, সোমবারও ঠিক একই রকম ভাবে চিৎকারে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন ধৃত।

প্রিজন ভ্যানের জানলার কাছে মুখ এনে তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে কোনো কথা বলতে দেয়নি। বড়ো বড়ো অফিসার সব! আমি নাম বলে দিচ্ছি। বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে। বিনীত গোয়েল, ডিসিডিডি স্পেশ্যাল সাজিশ করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমাদের সরকারও ওদের সমর্থন করেছে।’’ আরজি কর-কাণ্ডের পরেই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বিনীতকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বর্তমানে লালবাজারের ডিসিডিডি স্পেশ্যাল পদে রয়েছেন বিদিতরাজ বুন্দেশ।

গত সপ্তাহেও শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরোনোর সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। বলেছিলেন, ‘‘আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ সরকার ও ‘ডিপার্টমেন্ট’ তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। ধৃতের কথায়, ‘‘আমি রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমি বললাম যে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে সেখানেও যেতে দিল না। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে যে তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমি পুরোপুরি নির্দোষ।’’

গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সেই রাতেই কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাক থেকে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার পায় সিবিআই। ঘটনার ৫৮ দিন পর গত ৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট জমা দেয়। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই যে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত, তার বহু প্রমাণ হাতে রয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version