কলকাতা: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর বজবজের মহেশতলা। বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে বলি প্রাণ। এগরায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। বজবজের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৩ জনের। সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে কড়া বার্তা দেওয়ার পর, নিজেই বজবজে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি।
রবিবার সন্ধেয় বজবজের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। রাত আটটা নাগাদ বজবজের চিংড়িপোতা এলাকায় বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তার পরেই আগুন লেগে যায় একটি বাড়িতে। সেখানে বেআইনি বাজি তৈরি ও মজুত করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিস্ফোরণে মারা যান বাড়ির কর্ত্রী ও তাঁর মেয়ে। আরও একজন ঝলসে যান। পরে বেহালা ইএসআই হাসপাতালে তাঁরও মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় রাত থেকেই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে বজবজ থানার পুলিশ। রাতভর পুলিশি তল্লাশিতে প্রচুর অবৈধ বাজি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন ৯ মহিলা-সহ ৩৬ জন। ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিআইডি।
এ দিন নবান্নে রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠক ছিল। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন প্রশাসন অবৈধ বাজি কারখানার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তা জানতে চান তিনি। অবিলম্বে এই বাজি কারখানাগুলি বন্ধ করতে প্রশাসনকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন তিনি। সঙ্গে বেআইনি বাজি কারখানার ওপর নজর রাখতে বিশেষ কমিটি তৈরি করেন। এমনকী জনশূন্য স্থানে কোথাও বাজির ক্লাস্টার তৈরি করা যায় কি না তাও খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি।
ওই বৈঠক সেরেই মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যান নবান্ন থেকে। সূত্রের খবর, বজবজের দিকে রওনা হয়েছেন তিনি। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সোমবার বাতিল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?