বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ শক্তি বাড়াচ্ছে, সম্ভাব্য আঘাত ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। পর্যটকদের হোটেল খালি করার নির্দেশ জারি প্রশাসনের
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-তে পরিণত হচ্ছে, যা ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। এর জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন পর্যটকদের সুরক্ষার স্বার্থে দিঘা এবং আশেপাশের উপকূলীয় এলাকার হোটেলগুলি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে হোটেলগুলি খালি করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। জরুরি বৈঠকে জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি, মহকুমা শাসক সৌভিক চট্টোপাধ্যায় এবং দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুরের হোটেলগুলিতেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তার মধ্যে দিঘার সমস্ত হোটেল খালি করে দিতে হবে। পর্যটকেরা হোটেল ছেড়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে প্রশাসনের তরফে অভিযান চালানো হবে।’’
সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে সৈকত এলাকায় পর্যটকদের সমুদ্র স্নান নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন পর্যটকদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে এবং সতর্কতামূলক বার্তা প্রচার করছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। মঙ্গলবার জোয়ারের সময়েই দিঘার ‘ভয়ঙ্কর’ রূপ দেখা গিয়েছে। সেই রূপ দেখার জন্য সৈকত এলাকায় হাজির হয়েছিলেন পর্যটকেরা।
ও দিকে, ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে ইতিমধ্যে পুরী ছাড়ার হিড়িক দেখা গিয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। সময়ের আগেই হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ২৩ থেকে ২৫ তারিখ ১৪টি জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওড়িশা প্রশাসনের তরফে। পুরীর সমুদ্র সৈকতের আশপাশে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন তাঁদেরও অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়তে থাকা সমুদ্রের গর্জন আর ফাঁকা এই সৈকতই জানান দিচ্ছে ফের ঘূর্ণিঝড় আসছে।