কলকাতা: রবিবার (৭ জানুয়ারি, ২০২৪) সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশ। তার আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা এনেছেন যুব সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পাম অ্যাভিনিউতে পৌঁছন যুব নেতৃত্ব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী, পত্রিকা সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত প্রমূখ। সূত্রের খবর, তাঁদের হাতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানান, ‘ উনি বলেছেন আগামীকাল (রবিবার) ভাল ব্রিগেড হবে। বড় ব্রিগেড হবে।’ যুব সংগঠনের উদ্যোগে সফল বিগ্রেড সমাবেশের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শেষবার ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মাত্র পনেরো মিনিট থাকতে পেরেছিলেন মঞ্চে। ২০২১ সালের সমাবেশে তাঁর একটি অডিও বার্তা শোনানো হয়। এ বারও তাঁর একটি বার্তা নেওয়ার আশাতেই সাক্ষাৎ করেন মীনাক্ষীরা। উল্লেখযোগ্য ভাবে ১৯৬৭ সালে তৈরি ডিওয়াইএফআই-এর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব। তাই তাঁর বার্তা পশ্চিমবঙ্গের ডিওয়াইএফআই সংগঠনের কাছে তাঁর বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ দিকে, শহর, শহরতলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার ভিড় উপচে পড়তে শুরু করেছে ব্রিগেডের ময়দানে। ব্রিগেডে বাম যুব সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি সেরে রেখেছে পুলিশ-প্রশাসনও।
‘যৌবনের ডাকে জনগণের ব্রিগেড’। রাজ্যজোড়া ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষে ৭ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যে সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই, তার এমনই নাম দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন লোকসভা ভোট মাথায় থাকলেও, ৭ তারিখের ব্রিগেড শুধু নির্বাচনী সমাবেশ নয়, দাবি করেছেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, “যত দিন না সকলের কাজের এবং শিক্ষার অধিকার স্বীকৃত হচ্ছে, তত দিন বিরামহীন লড়াই চলবে।”
লালবাজার সূত্রে খবর, ১ লক্ষ জন সমাবেশের কথা জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। যদিও বিভিন্ন জেলা ও শহরতলি থেকে আসা সমর্থকদের সংখ্যা দেখে, কীরকম ভিড় হতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: লুকআউট নোটিশ জারি ইডি-র, গোপন ডেরা থেকে অডিও-বার্তা শাহজাহান শেখের!