Home খবর রাজ্য সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণবঙ্গ, কাঁপল কলকাতাও, উৎসস্থল বঙ্গোপসাগর

সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণবঙ্গ, কাঁপল কলকাতাও, উৎসস্থল বঙ্গোপসাগর

সকালে ঘুম ভাঙল কাঁপুনি নিয়ে! ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল, কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১ রিখটার স্কেলে। ভূকম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, কলকাতাসহ ওড়িশা এবং বাংলাদেশের পশ্চিম প্রান্তের উপকূলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে।

পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবল কম্পন, কাঁপল কলকাতাও

ভূমিকম্পের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। হলদিয়া, কাঁথি, দিঘায় প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। কলকাতাতেও বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরবাসীরা।

ওড়িশা ও বাংলাদেশেও অনুভূত ভূমিকম্প

ওড়িশার বেশ কয়েকটি উপকূলবর্তী এলাকা, বিশেষ করে পুরী ও ভুবনেশ্বরে কম্পন টের পাওয়া যায়। বাংলাদেশেও ভূকম্পনের প্রভাব পড়েছে, বিশেষ করে ঢাকা ও পশ্চিমাঞ্চলের কিছু উপকূলীয় এলাকায়।

ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই, তবে নজর প্রশাসনের

ভূমিকম্পের জেরে এখনো পর্যন্ত কোনও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ভূকম্পনের পরে সমুদ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

কলকাতা সিসমিক জোন ৪-এ, কেমন ঝুঁকিতে শহর?

কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২১ সালের ভূকম্পন মানচিত্র অনুযায়ী, কলকাতা ‘সিসমিক জ়োন ৪’-এর মধ্যে পড়ে। এই অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। বঙ্গোপসাগর বা উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসা ভূকম্পনগুলির প্রভাব কলকাতায় অনুভূত হয়।

সম্প্রতি অন্য ভূমিকম্পগুলির প্রভাব

গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, যার উৎস ছিল ধৌলাকুঁয়া অঞ্চলে। গত মাসে তিব্বতের নেপাল সীমান্তে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়। তার কিছুদিন পরেই বঙ্গোপসাগরের গভীরে ভূমিকম্প হওয়ায় আবারও সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version