কলকাতা: বৃহস্পতিবার কাকভোরে মধ্যমগ্রাম মাইকেলনগরে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে পৌঁছায় ইডি-র তদন্তকারী দল। একনাগাড়ে চলে তল্লাশি। জানা যায়, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবেই খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি-র অভিযান। অবশেষে রাত পৌনে ২টো নাগাদ মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ইডি-র দল।
মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এর আগে পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন ঘোষ। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এই সময়কালেই। সূত্রের দাবি, সেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা। টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে, কীভাবে পৌঁছেছে, সেই খতিয়ে দেখাই ইডি-র উদ্দেশ্য।
রাত পৌনে ২টোয় ইডির দল তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রথীন বলেন, “ইডি আধিকারিকেরা আমার সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেননি। তবে পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে তাঁদের ধারণায় অনেক গন্ডগোল আছে।”
তিনি আরও বলেন, “সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই তল্লাশি। আমাকে হেনস্থা করতেই বাড়িতে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা।” নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের অফিস থেকে পাওয়া একাধিক নথিপত্র ঘেঁটে রথীন ঘোষের নাম উঠে আসে। যে কারণে তাঁর বাড়িতে ইডি-র হানা। তবে শুধু মধ্যমগ্রাম নয়, এ ছাড়াও কামারহাটি, টিটাগড়, বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়ের বাড়ি-সহ মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
আরও পড়ুন: খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডি, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ভোর থেকে তল্লাশি