অবশেষে সাসপেন্ড হলেন সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর কাণ্ডের ২৬ দিন পর তাকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি সহ নানা অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার তাকে গ্রেফতার করা সিবিআই। তারপর এই সাপেন্ডের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের।
মঙ্গলবার তাঁকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আট দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির বিস্ফোরক অভিযোগে জানা যায়, সন্দীপ ঘোষ হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে ব্যবসা করতেন এবং সেই লাশগুলিকে বাংলাদেশে পাচার করা হত। এছাড়াও, হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য বা বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট বিক্রির সঙ্গে সন্দীপের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এই সমস্ত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত সিবিআই শুরু করেছে এবং সেই তদন্তের ভিত্তিতেই সন্দীপকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল, সন্দীপ ঘোষের সাসপেন্ড । সেই দাবিতে লাগাতার সরব হচ্ছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত তাকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার। অভিজ্ঞমহলের ব্যাখ্যা, আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয় সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দফতর।
এদিন আদালত ঢোকার সময় সন্দীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে একদল লোক ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে থাকে। আদালতে পশে করে সিবিআই তাকে দশ দিনের হেফজতে চায়। কিন্তু আদালত আটদিনের হেফাজত দিয়েছে।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us

