কলকাতা: সামনে লোকসভা ভোট। এরই মধ্যে দলত্যাগ করে দলের বিড়ম্বনা বাড়ালেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ। সাংসদপদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চিঠি দিয়ে দল ছেড়ে দিলেন কুনার হেমব্রম। আচমকা এই ঘটনায় পদ্মশিবিরে সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে মত অনেকের। ওই কেন্দ্র থেকে এ বার কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা।
কয়েক দিন আগে বিজেপি ছেড়েছেন রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। এ বার দল ছাড়লেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। অন্য দলে যোগ দেবেন কি না, এখনও তেমন কিছু ভাবেননি বলেই জানিয়েছেন তিনি। উল্টে, বিজেপি তাঁকে অনেক কিছুই দিয়েছে বলে দলকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
শনিবারই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শিলিগুড়িতে তাঁর সভার আগের রাতে দল ছেড়ে দিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম। শুক্রবার রাতে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, দল ছাড়ার পিছনে অভিমান বা অন্যকোন যুক্তি খাড়া করেননি কুনার। তিনি বলেন, ‘এটা অভিমানের কোনও বিষয় নয়। কিছু ব্যক্তিগত ব্যাপার রয়েছে। সে কারণে আমি দলে কাজ করতে চাইছি না।’ তবে সত্যিই কারণটা একান্ত ব্যক্তিগত, না কি পিছনে রয়েছে অভিমান তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রামে চর্চা শুরু হয়েছে।
অন্য দিকে, বিজেপি সূত্রে দাবি, ঝাড়গ্রামে এ বার টিকিট পেতেন না কুনার। ওই কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীর খোঁজ চলছিলই। যে কারণে ঠিক ভোটের মুখে দল ছেড়ে দিলেন বিদায়ী সাংসদ। তবে, বিজেপি তাঁকে ফের প্রার্থী করলে আর তিনি আর প্রার্থী হবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন কুনার। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, বয়সজনিত বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ফলে তাঁর পক্ষে আর সক্রিয় রাজনীতি করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য কোনও দল তো নয়-ই, রাজনীতিতেই তিনি থাকতে চাইছেন না।
আরও পড়ুন: লোকসভার প্রথম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস, কোন কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল গান্ধী