এক বছর আগে ১৪ অগস্ট রাতে যেমন পথে নেমেছিল গোটা কলকাতা, ঠিক তেমনই বৃহস্পতিবার ফের ‘রাতদখল’ কর্মসূচিতে সরব হল শহর ও জেলা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দাবিতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাতভর রাস্তায় অবস্থান নিলেন প্রতিবাদীরা।
কলকাতার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ছিল মূল কর্মসূচি। ব্যানার, পোস্টার, জাতীয় পতাকা হাতে জমায়েত হন বহু মানুষ। গানে, কবিতায়, নাটকে এবং রাস্তায় ছবি এঁকে প্রতিবাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহরেও বিচারের দাবিতে মানুষের ঢল নামে।
নদিয়ার কালীগঞ্জের ন’বছরের তমন্না খাতুনের মা-ও এদিন শ্যামবাজারের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বোমা হামলায় তমন্নার মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। এবার তিনি আরজি করের নির্যাতিতার জন্যও ন্যায়ের দাবিতে এই কর্মসূচিতে অংশ নিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে ‘অভয়া মঞ্চ’-এর উদ্যোগে কর্মসূচি হলেও, সেখানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভয়া মঞ্চের অভিযোগ, মঞ্চ বাঁধতে দেওয়া হয়নি এবং মাইক বাজিয়ে কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বর্ধমানের কার্জন গেট, দুর্গাপুর শহর, সোদপুর, দমদমের নাগেরবাজার, লেকটাউন, মেদিনীপুর, হাবড়া, বেহালা, হুগলি— সর্বত্রই এদিন রাতদখল কর্মসূচি পালিত হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি স্থানে মানুষের ভিড় ক্রমশ বেড়েছে।
প্রতিবাদীদের দাবি, এক বছর পেরিয়েও আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি। তাই বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই আন্দোলন চলবে।
রাষ্ট্রপতির মেল
ঘটনাচক্রে রাতদখলের কর্মসূচির দিনই নির্যাতিতার বাবার কাছে ই-মেল এসেছে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে। মেলে তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই মেল প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে নির্যাতিতা বাবা বলেন, ‘আজ রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে একটা ভাল খবর পেয়েছি। রাষ্ট্রপতি বলেছেন ওনার আপ্ত সহায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকবেন। আমাদের যে সমস্যাগুলি হচ্ছে সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করবেন। এখন একটু হলেও আশা জাগছে। এনারা আমাদের সহযোগিতা করলেও বিচারটা পেতে আমাদের সুবিধা হবে।’
আরও যে খবর পড়তে পারেন
নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা