কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাতে এক্স-এ বিস্ফোরক পোস্ট। শুক্রবার দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অব্য়াহতি চেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে বার্তা। শনিবার সরাসরি উত্তর কলকাতার প্রার্থী বদলেরও দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন কুণাল ঘোষ। এ বার সরাসরি তাঁকে উত্তর কলকাতায় প্রার্থী না করার দাবি তুললেন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে। শনিবার তাঁর দাবি, উত্তর কলকাতায় দলের তরফে মহিলা কাউকে প্রার্থী করা হোক। শুধু তাই নয়, কে সেই মহিলা, সেটাও জানিয়ে দিলেন কোনো রাখঢাক না করেই।
উত্তর কলকাতা লোকসভা আসনের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে মহিলা প্রার্থীর সওয়াল করেন কুণাল। বলেন, “আগে এটা ছিল উত্তর-পূর্ব কলকাতা। উত্তর কলকাতার ইতিহাস দেখলে বোঝা যাবে, কোনো মহিলা এখানে সাংসদ হননি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৮ বছর বয়স। গ্রেফতারের আগে কালো চুল। পরে সাদা চুল। দক্ষিণ কলকাতা মহিলা সাংসদ পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন সাংসদ মালা রায়। উত্তর কলকাতায় মহিলা প্রার্থী দেওয়া হোক।”
আসন্ন লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতার প্রার্থী হিসাবে প্রথমেই শশী পাঁজার নাম সুপারিশ করেন কুণাল। জোর গলায় তিনি বলেন, “অজিত পাঁজার পুত্রবধূ ডা. শশী পাঁজার মতো প্রার্থী রয়েছেন যিনি একদিকে চিকিৎসক, একদিকে জনপ্রধিনিধি, মন্ত্রী কিংবা তাঁর মতো অন্য কোনো সিনিয়র দক্ষ মহিলা প্রার্থী হোক।”
তবে, সুদীপ-পত্নী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন কুণাল। যেহেতু তিনি মহিলা প্রার্থীর হয়ে সওয়াল করছেন, তা হলে নয়নার ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী? আপত্তি না থাকার কথা জানিয়েও কুণাল মন্তব্য, “নয়নাদি যদি বিউটিপার্লারের কাজ সেরে সাংসদ হতে পারেন তা হলে হবেন।”
শেষ কয়েক দিন ধরে কখনও নাম করে আবার কখনও ইঙ্গিতে সুদীপকে নিশানা করে চলেছেন কুণাল। কখনও বলেছেন, ‘সুদীপদা একটা বড় সাইজের শাহজাহান’, কখনও বলেছেন “ভুবনেশ্বর অ্যাপোলোতে থাকার সময় হাসপাতালের বিল কে দিয়েছিল তার তদন্ত হোক। তা না হলে আদালতে যাব”। যদিও বিতর্কের আবহে এখনও পর্যন্ত কোনো তেমন কিছু বলতে শোনা যায়নি উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপকে।