কলকাতা: রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনা গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থার অভিযোগে বুধবার বেলা ১২টা থেকে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ধরনা চলবে। টানা ৩০ ঘণ্টা ধরে ধরনামঞ্চে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘‘যারা দিন আনে দিন খায় তাদের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। মানুষের দাবি আদায়ে এক বার নয়, এক কোটি বার ধর্নায় বসব। আমার দল ক্ষমতায় আছে। তার মানে মানুষের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির পাশেও বসতে পারি। আমি জনপ্রতিনিধি’’।
কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতাও। এত লোকের বিমান ভাড়া, খাওয়া-থাকার খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘‘ওই টাকা পেলেও কিছু গরিব মানুষকে দেওয়া যেত। বলে আসছে (রাজ্য বিজেপি), টাকা দিও না, আমরা জিততে পারব না। তৃণমূল সরকার কাজ করে দেখিয়ে দেবে।’’
ধরনা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে মমতা প্রথম দিনই জানিয়ে দিয়েছেন, “এটা রাজ্য সরকারের তরফে নয়, সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই ধর্নামঞ্চ। কিন্তু আমি সরকারের পক্ষ থেকে আছি, আমাদের সব মন্ত্রীরাও আছেন। আমি ডবল ডিউটি পালন করছি, বিজেপির মতো সরকারের টাকা মিসইউজ করি না”।
কী কারণে ধরনার মুখ্যমন্ত্রীর?
মূলত ৯টি ইস্যুকে সামনে রেখে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ইস্যুগুলির মধ্যে অন্যতম বাংলাকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা। রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। ১০০ দিনের কাজে বকেয়া সাত হাজার কোটি টাকা। আবাস যোজনায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বারা বিরোধীদের হেনস্থা। ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে ঝড়বৃষ্টি জেলায় জেলায়, কতটা প্রভাব পড়বে কলকাতায়