Home খবর রাজ্য ‘উত্তেজনা ছড়াবেন না,’ বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য না করতে আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

‘উত্তেজনা ছড়াবেন না,’ বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য না করতে আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুরে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘শান্ত থাকুন। উস্কানিমূলক কথা ছড়াবেন না।’’

সোমবার বিধানসভায় থাকাকালীনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খবর পান যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। এরপরই মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দেশে যে সরকার আছে তাদের উপর ছেড়ে দিন। আপনারা নিজেরা এমন কোনও মন্তব্য করবেন না যাতে কোনও হিংসা বা প্রতিরোধ শুরু হতে পারে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, কিন্তু সেটা নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না বা বলবেন না যাতে বাংলা বা ভারতের শান্তি নষ্ট হয়। এটা আমার সবার কাছে অনুরোধ। বিশেষ করে বিজেপি নেতাদের বলছি, কারণ আপনারা ইতিমধ্যেই নানা কিছু পোস্ট করছেন। যে পোস্টগুলো করা উচিত নয় বলেই আমি মনে করি। আমি আমাদের নেতাদেরও বলছি কেউ কোনও পোস্ট করবেন না।’’

পদত্যাগ করে বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তদারকি সরকার গঠনের প্রস্তাব

মন্ত্রীদেরও বাংলাদেশ নিয়ে পোস্ট করতে মানা

সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রীদের কোনও রকম মন্তব্য করতে বারণ করেছেন। সোমবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরা তো বিস্তারিত জানি না। তাই বাংলায় সবাইকে শান্ত থাকতে বলব। কেউ যেন উত্তেজনা না ছড়ায়, কেউ যেন উত্তেজনায় পা না দেয়। এটা দুটো রাষ্ট্রের মধ্যে বিষয়। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। ভারত সরকার নজর রাখছে, তারা যা বলবে, আমরা তা করব।’’

বাংলা তথা ভারতের নেতা, মন্ত্রী ও সাধারণ মানুষের কাছে প্ররোচনামূলক কথা না ছড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘‘সবার জন্য বলব, শান্তিরক্ষা করুন। ভারত একটা দেশ। বাংলাদেশও একটা দেশ। কিন্তু যদি পাশের রাজ্যে যদি কিছু হয়, প্রতিবেশীর যদি কিছু হয়, তার একটা প্রভাব পাশের রাজ্যে পড়ে। সে ক্ষেত্রে শান্ত থেকে আমাদের পরিস্থিতি দেখে রাখতে হবে।’’

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version