কলকাতা: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। মনোনয়নের শুরুতেই খুন, অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি, উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পরই কড়া বার্তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের।
এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের শাসকদলের পাশাপাশি সুকান্তের নিশানায় ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার রাজীব সিনহা। তৃণমূল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য যে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন ছিল তা করা হয়নি। রাজীববাবুর আগে যিনি কমিশনার ছিলেন, তিনি কোনও আলোচনা করেছিলেন কি না জানা নেই। তাঁর আমলের ফাইলগুলিও রাজীববাবু দেখেছেন কি না সন্দেহ!’’
ঘটনাচক্রে সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজীব। তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তাঁর কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতেই গিয়েছিলেন নতুন কমিশনার। অন্য একটি সূত্রের মতে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিছিলেন রাজ্যপাল।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপালের কড়া বার্তা, “যে কোনো মূল্যে অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতেই হবে।” পাশাপাশি রাজীবকে তাঁর প্রশ্ন,”পর্যাপ্ত বাহিনী আছে কি? কেন্দ্রীয় বাহিনী আনছেন কি?”
জবাবে নির্বাচন কমিশনার জানান, “সাধারণত কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার সিদ্ধান্ত আদালত নেয়, মামলা বিচারাধীন, তাই আদালতের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি”।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা শুরু হয়েছে শুক্রবার। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অনেক জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এসবের মধ্যেই এবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর চোখ রাঙানি, গতি বাড়িয়ে অতি শক্তিশালী রূপ