ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর চোখ রাঙানি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ (IMD) জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে ‘বিপর্যয়’। যদিও আরব সাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়টি ভারতে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বলে মনে করছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। ঝড়টি মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা বৃহস্পতিবার জানানো হলেও পরদিন এই অবস্থান থেকে সরেছে। এই মুহূর্তে পূর্ব এবং মধ্য আরব সাগরে অবস্থান করছ এই ঘূর্ণিঝড়। ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম ও পাকিস্তানের করাচি উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’।
শনিবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ ছ’ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে উত্তরদিকে অগ্রসর হয়েছে অতি প্রবল ঘূ্র্ণিঝড় বিপর্যয়। ক্রমশ আরও শক্তিশালী হবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। বাড়বে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ। ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলতে পারে। অধিকাংশ সময় ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিমি গতিবেগে ঝড় বইবে।
ইতিমধ্যে, আরব সাগরের এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় মৎস্যজীবীদের না যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গুজরাতের মৎস্যজীবীদের ১৪ জুন পর্যন্ত আরব সাগরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। যারা সমুদ্রে রয়েছে, তাদেরও উপকূলে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আরও কাছাকাছি চলে আসার কারণে, আরব সাগর উপকূলে গুজরাতের ভালসাদের তিথল সমুদ্র সৈকতে উঁচু ঢেউ লক্ষ্য করা গেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত তিথল সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দেখা মিললেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি আর ৪ দিন