আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনে প্রত্যেকদিন রান্না করা টাটকা খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। সময় বাঁচাতে অনেকে বেশি করে রান্না করা খাবার ফ্রিজে স্টোর করে রাখেন। সময় ও খাবারের অপচয় বাঁচাতেই এমনটা করেন তাঁরা। ফ্রিজে থাকা খাবারের অপচয় হয়ত রোধ করা সম্ভব কিন্তু সে সব খাবার খেয়ে আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ছে না তো?
কতদিন পর্যন্ত ফ্রিজে খাবার স্টোর করে রেখে দেওয়া সম্ভব?
১) অনেকে ফ্রিজে রান্না করা ভাত রেখে দেন। ফ্রিজে ভাত রাখলে সেটা ২ দিনের মধ্যে খেয়ে নেবেন। বেশিদিন ফ্রিজে ভাত রাখবেন না। ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ভাত খাবেন না।
২) নষ্ট হওয়ার ভয়ে অনেকে ডাল বেশি করে রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন। ২ দিনের মধ্যে রান্না করা ডাল খেয়ে নেবেন। না হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে।
৩) অনেকে ফ্রিজে আটার তৈরি বাসি রুটি ও পাঁউরুটি রেখে দেন যা পেট ব্যথার কারণ হয়। তৈরির ১২-১৪ ঘণ্টার মধ্যে রুটি খেয়ে নেবেন। নাহলে গুণাগুণ তো মিলবে না উল্টে পেটের যন্ত্রণা হবে।
৪) ফ্রিজে কাটা ফল খেলে দিলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খেয়ে নেবেন। নাহলে বিষক্রিয়া হবে। কাটার ১২ ঘণ্টা পর ফল খেলে বিষক্রিয়ায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ফল কেটে রাখলে অক্সিডেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওপরের স্তর কালো হয়ে যায়।
ফ্রিজে কীভাবে খাবার স্টোর করবেন
মাছ, মাংস, ডিম, বাজার থেকে কিনে এনে পরিষ্কার করে ফ্রিজে রেখে দিন। নাহলে সংক্রমণ হয়। এক গাদা দুধ কিনবেন না। আগে পুরনো দুধের প্যাকেট ব্যবহার করবেন। পনির, চিজ, দই, দুধ বেশি ঢালাঢালি করবেন না। শেলফ লাইফ দেখে দুধ, পাঁউরুটি, দই কিনবেন। ফল আর সবজি একসঙ্গে মিশিয়ে রাখবেন না। ফল আর সবজি থেকে গ্যাস বেরোয় যা অন্যকে পচিয়ে দিতে পারে। বাজার থেকে কিনে এনে পরিষ্কার করে শুকিয়ে ফ্রিজে ফল, সবজি রাখবেন। লেবু, টমেটো পুরো ব্যবহার না করলে ফ্রিজে রেখে দিন। আলু, পেঁয়াজ, আদার মতো মাটির নীচে হওয়া ফসল ফ্রিজে রাখবেন না। আলাদা বাস্কেটে রাখুন।
আরও যে প্রতিবেদনগুলি পড়তে পারেন
- নুন না চিনি—টক দইয়ে কী মেশালে উপকার বেশি? জানুন রোজ দই খাওয়ার উপকারিতাও
- ভারতীয় দম্পতিদের মধ্যে বাড়ছে স্থুলতা, নীরব মহামারীর আশঙ্কা! নুন খাওয়া নিয়েও সতর্ক করল আইসিএমআর