কলকাতা: শুক্রবার আরামবাগে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলার জন্য ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতা করার সময় তাঁর মুখে বারেবারে উঠে এল শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। একই সঙ্গে তাঁর বক্তৃতায় উঠে এল সন্দেশখালিকাণ্ডের কথাও।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা দেখে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা আজ এই অবস্থা দেখে কাঁদছে। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে দুঃসাহসের সব সীমা পার হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা মুখ খুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছেন। বদলে কী পেয়েছেন? বিজেপি নেতারা মা-বোনেদে জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।”
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের নাম ধরেই কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,”দু মাস ধরে তৃণমূল নেতা পলাতক ছিলেন। কেউ তো নিশ্চয় ছিল, যে সাহায্য করছিল।’ সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মোদী বলেন, সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন তো?” একই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, “নির্দিষ্ট ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে বলে অহঙ্কার তৃণমূলের। মনে রাখবেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করবে এখানকারই মানুষ।”
এ ছাড়াও শিক্ষা থেকে গরু, কয়লা, রেশন দুর্নীতি ইস্যুতে ফের তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন মোদী। তিনি বললেন, “গরিবের জমি দখল থেকে সরকারি প্রকল্প, চিটফান্ড, সবেতেই তৃণমূলের দুর্নীতি। দুর্নীতি করেছে বলেই তো তৃণমূল নেতার ঘরে নোটের পাহাড়। সিনেমাতেও কারও ঘর থেকে এত টাকা উদ্ধারের ছবি দেখা যায়নি। গরিবকে এতদিন ধরে লুঠ করেছে, আর এখন টাকা দিচ্ছে না বলে ধর্না দিচ্ছে। মানুষের টাকা লুঠ করতে দেব না, এতদিন ধরে যাঁদের লুঠ করেছে তৃণমূল, তাঁদের টাকা ফেরত দিতেই হবে।”
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই ১০০ প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে চলেছে বিজেপি! তালিকায় অনেক হেভিওয়েট