শ্রয়ণ সেন
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ জেলা থেকে তাপপ্রবাহ বিদায় নিয়েছে। আশা করা যায় যে শনিবার অথবা রবিবার বাকি জেলা থেকেও তাপপ্রবাহ বিদায় নিয়ে নেবে। তার পরেই গোটা রাজ্য জুড়েই বৃষ্টির পালা শুরু হতে চলেছে। পূর্বাভাস যা, তাতে মনে হচ্ছে মে মাসে সাধারণত যা বৃষ্টি হয়, তার থেকে বেশি বৃষ্টি হয়তো হতে পারে আগামী এক সপ্তাহে।
উল্লেখ্য, টানা পাঁচ দিন চল্লিশের ওপরে থাকার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবার চল্লিশ থেকে নামে কলকাতার তাপমাত্রা। শুক্রবারও তা চল্লিশের নীচেই ছিল। যদিও সেই ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাটি স্বাভাবিকের থেকে সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও কমেছে পারদ।
যদিও এখনও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ আরও কিছু জেলায় গরমের দাপট প্রবল। শুক্রবার কলাইকুণ্ডায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। তবে আশা করা যায় যে শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গাতেই পারদচিত্রে পরিবর্তন আসবে। এর কারণ এত দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে উত্তর দিক থেকে আসা যে শুষ্ক উত্তুরে হাওয়া বইছিল, তার পরিবর্তে শনিবার থেকেই বইবে সমুদ্রের দিক থেকে আসা জলীয় বাষ্পে ভরা দখিনা বাতাস।
এর হাত ধরেই আবহাওয়ার আমুল পরিবর্তন হবে গোটা রাজ্যেই। তবে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেক বেশি। উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহের তীব্র গরমের কারণে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে বায়ুচাপ অনেক কমেছে। সেই কারণে সেখানে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সোমবার থেকে একের পর এক কালবৈশাখীর সৃষ্টি হতে পারে।
এর প্রভাবে সোমবার থেকে অন্তত শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে এই সময়। বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকছে। এমনকি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সামনের সপ্তাহের শুক্রবারের পর ঝড়বৃষ্টি শেষ হয়ে যাবে এমনটা বলা হচ্ছে না। বরং আগামী অন্তত ১৫ দিন রোজই কিছু না কিছু বৃষ্টি হতে পারে গোটা রাজ্য জুড়েই। এর কারণে তীব্র গরমে পুড়তে থাকা রাজ্যে অনেকটাই স্বস্তি চলে আসবে।
আরও পড়ুন
‘সেরা বাবা-মা’ ধর্মেন্দ্র-হেমার বিবাহবার্ষিকীতে মেয়ে এশার শুভেচ্ছা