কলকাতা: ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর ১১ দিন কেটে গিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা প্রশ্ন উঠেছে আগেই। এরই মধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তবে আগের দিন জানানো আবেদন তিনি প্রত্যাহার করে নিলেন মঙ্গলবার।
শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এই ঘটনায় প্রায় তিন হাজার মানুষ অভিযুক্ত, সেই ঘটনায় মাত্র ৪ জনকে কেন গ্রেফতার করা হল, সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্য পুলিশকে। সোমবার আইনজীবী মারফত শাহজাহান হাইকোর্টকে জানান, তিনি সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হতে চান। কারণ, তিনি চান এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও শোনা হোক।
কিন্তু সোমবার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার শাহজাহানের আইনজীবী অবশ্য জানিয়েছেন, আদালত মনে করলে মামলায় যুক্ত হবেন তাঁর মক্কেল।
আগের দিন বিচারপতি শাহজাহানের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার মক্কেল কেন সারেন্ডার করছেন না’? এজি চুপ করতে বলার পরেও শাহজাহানের আইনজীবী তাঁকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। পাশাপাশি, রাজ্যের এজিকে আদালতের নির্দেশ, ‘সৎ ভাবে বিচার দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন’।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকেরা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ওই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১০ দিন। এ বার আড়ালে থেকেই আইনজীবী মারফত মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানালেন ‘নিখোঁজ’ শাহজাহান।
ইডির আইনজীবী এসভি রাজু এবং ধীরাজ ত্রিবেদী সন্দেশখালির ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সোমবার সেই মামলাতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শাহজাহানের আইনজীবী। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলও ওই মামলায় যুক্ত হতে চান। যদিও আদালত এই আবেদনে পাল্টা ভর্ৎসনা করেন শাহজাহানের আইনজীবীকেই।
আরও পড়ুন: মলদ্বীপ সেনা সরাতে বলার পর বিবৃতি বিদেশমন্ত্রকের, কী জবাব দিল নয়াদিল্লি