উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন চলতে চলতে ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মঞ্চ বদল করে এবার আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষের চেম্বারের বাইরে অবস্থান শুরু করেছেন। তবে আন্দোলনের তীব্রতা এতটুকু কমেনি। এদিন সকাল থেকেই সিনিয়র চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার খবর ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে মেডিক্যাল প্রশাসনে জরুরি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রীবৃন্দ এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তারা জানান, “আমরা মানুষ পরিচয়ে এখানে এসেছি। চিকিৎসকদের এই লড়াইতে আমরা সহমর্মিতা জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে, গণ ইস্তফার জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে চিকিৎসক মহল। ইস্তফা দিয়ে সিনিয়র চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানান, “আমরা হাজিরা খাতায় সই করবো না, কিন্তু কাজ চালিয়ে যাবো। আমরা ছাত্রদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইস্তফা দিচ্ছি।”
প্যান্ডেলে লিফলেট বিলি, মূর্তি নিয়ে শহর পরিক্রমা, ষষ্ঠীর কর্মসূচি আন্দোলনকারীদের
উৎসবের সময়েও উত্তরবঙ্গের এই আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে। কলকাতাতেও জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন চলছে ধর্মতলায়, যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন নাগরিক মহল তাদের সমর্থন জানাচ্ছে। এর আগে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ৫০ জন চিকিৎসক গণ ইস্তফা দেন, যা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের চিকিৎসকরাও কলকাতার আন্দোলনের তেজে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। বর্তমানে গোটা রাজ্যের নজর রয়েছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। চিকিৎসকদের এই আন্দোলন কোন পথে গড়াবে এবং সরকার কীভাবে এর সমাধান করবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।