পশ্চিমবঙ্গে তিন কোটিরও বেশি এসআইআর (Summary Intensive Revision) এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭.৬ কোটি।
কমিশনের এক আধিকারিক জানান, “শুক্রবার রাত পর্যন্ত বাংলায় তিন কোটিরও বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ হয়েছে।” পাশাপাশি, কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে প্রত্যেক বুথ লেভেল অফিসার (BLO)-এর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ ও সংগ্রহ করতে হবে। কোনওভাবেই কমিউনিটি হল বা ক্লাবে বসে ফর্ম বিলি করা যাবে না। কমিশনের হুঁশিয়ারি, “এই নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় দেখা গিয়েছে, BLO-রা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে ফর্ম বিলি করছেন। এ প্রসঙ্গে কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “ঘটনা খুব বেশি নয়, তবু রাজ্যের সব জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের জানানো হয়েছে যে প্রত্যেক ভোটারের বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করতেই হবে, নিয়ম অনুযায়ী।”
শুক্রবার জলপাইগুড়িতে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি কমিশনার জ্ঞানেশ ভরতি। বৈঠক শেষে সহকারী নির্বাচন কমিশনার দিব্যেন্দু দাস জানান, বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশন সন্তুষ্ট। তিনি আশ্বাস দেন, “কোনও বৈধ ভোটার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবেন না।” সাম্প্রতিক বন্যা বা ধসের ঘটনায় যাঁদের নথিপত্র নষ্ট হয়েছে, তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিহারে ভোট রেকর্ড! প্রথম দফায় ৬৪.৬৬% ভোট, আগের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ৯% বেশি — কারণ কি এসআইআর?
অনলাইন ফর্ম ফিলআপ কবে?
এদিকে, কর্মসূত্রে অন্য রাজ্য বা দেশে থাকা ভোটারদের জন্য অনলাইন ফর্ম ফিল-আপের ব্যবস্থা করার কথা আগেই জানিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তিন দিন কেটে গেলেও এখনও সেই অনলাইন ফর্ম প্রকাশ পায়নি। কমিশনের ওয়েবসাইটে এখনও এনুমারেশন ফর্ম “অধরা” থাকায় চিন্তায় পড়েছেন প্রবাসী ভোটাররা।
কমিশনের এক অংশ জানায়, “বিহারের তুলনায় বাংলাসহ ১২টি রাজ্যে ভোটার তালিকার পরিমার্জন অনেক বেশি জটিল। অনলাইনের ক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল স্বাক্ষর’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই যাতে কোনও ত্রুটি বা সমস্যা না হয়, সেই কারণেই সময় নিয়ে এই সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে।”
সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে না হলেও আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অনলাইন ফর্ম প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
তবে কমিশনের একাংশের পরামর্শ, “যাঁদের পক্ষে সম্ভব, তাঁরা যেন সরাসরি বাড়ি এসে BLO মারফত ফর্ম ফিল-আপ করেন। তাতে ভুল বা তথ্যগত ত্রুটির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।”
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us

