Home রাজ্য দঃ ২৪ পরগনা বাঘ গুনতে সুন্দরবনের জঙ্গলে বসছে ১৪৪৪টি ক্যামেরা, পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ প্রতি...

বাঘ গুনতে সুন্দরবনের জঙ্গলে বসছে ১৪৪৪টি ক্যামেরা, পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ প্রতি শুক্রবার

0

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: বাঘের সংখ্যা জানার জন্য আবার সুন্দরবনের জঙ্গলে বসতে চলেছে ক্যামেরা। কথায় বলে, সুন্দরবন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে একটি। প্রতিবছর শীতের সময় সুন্দরবন বেড়াতে আসেন কয়েক লক্ষ মানুষ, তাছাড়া সারা বছরই সুন্দরবনের বেড়াতে আসে বহু মানুষ। আর প্রতিবারের মতন এবারেও বাঘের সঠিক সংখ্যা পেতে সুন্দরবনে ৪৫ দিন ধরে বসানো থাকবে ক্যামেরা। অন্য দিকে, ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতি শুক্রবার করে এবার পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ থাকবে।

সুন্দরবনে ঠিক কত বাঘ রয়েছে, তাঁর নিখুঁত সংখ্যা পেতে এবার ৩০-এর বদলে ৪৫ দিন ধরে চলবে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের কাজ। দক্ষিণ রায়ের ছবি তুলতে বসানো হবে ১৪৪৪টি ক্যামেরা। গতবারের তুলনায় এবার এই সংখ্যায় কোনো হেরফের হয়নি। সব মিলিয়ে ৪১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সুন্দরবনের বাঘের সর্বক্ষণের গতিবিধি নজরবন্দি করবে এই ক্যামেরা। তারা কোন এলাকায় বেশি ঘুরছে, কী করছে সব রেকর্ড হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীন সুন্দরবনের জঙ্গল সকল পর্যটকদের জন্য মঙ্গলবারের বদলে শুক্রবার করে বন্ধ থাকবে।

সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের এক আধিকারিক বলেন, জঙ্গলের একটা বড় অংশ ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে। বেশি সংখ্যক বাঘের ছবি যাতে ধরা পড়ে, তার জন্যই ৪৫ দিন জঙ্গলে রাখা থাকবে ক্যামেরা। উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, হতেই পারে কোনও বাঘ ক্যামেরা বসানো জায়গায় ৩০ দিন এল না। পরে ঘুরতে ঘুরতে সেখানে হাজির হল। তখন তাঁর ছবি ধরা পড়বে,তাছাড়া এই ক্যামেরা চালু হওয়ার পর থেকে ব্যাটারির আয়ু থাকে ৪৫ দিন পর্যন্ত। এই পুরো সময়টা কাজে লাগাতে চাইছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।

গতবারের মতো এবারও মেছো বিড়াল, বুনো শুকর-সহ অন্যান্য প্রাণীর ছবিও ধরা পড়বে এতে। পরে সেগুলিও পর্যালোচনা করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা আঞ্চলিক বনবিভাগ এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন জঙ্গলে একসঙ্গেই এই শুমারির কাজ হবে বলে ঠিক হয়েছে। ক্যামেরা কীভাবে বসাতে হবে, সেজন্য বনকর্মীদের এক প্রস্থ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সূত্রের খবর, ২১ নভেম্বর জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করবেন বনকর্মীরা। ২৬ নভেম্বরের মধ্যে সেটা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ছবি তোলার কাজ চলবে। তবে এবার ছোট ছোট এলাকা ধরে ক্যামেরা বসানো হবে, না কি বড় এলাকা জুড়ে, সেজন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং ডিএফও যৌথভাবে তা ঠিক করবে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেল, বাঘেদের খুনসুটি, কে কখন দৌড়ে শিকার করছে, শাবকদের নিয়ে মা বিশ্রাম নিচ্ছে, এসব আগের বার ধরা পড়েছিল। এবারও আশা করা যাচ্ছে, আরও অনেক অজানা তথ্য উঠে আসবে। আর শীতের আগমনে বাঘ দর্শনের আশায় এখন পর্যটকরা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version