নিজস্ব প্রতিনিধি: মালঞ্চের ‘জীবন সাথী মহিলা মহল’ আয়োজিত এক বিচিত্রানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করল ‘বিকেলে ভোরের ফুল’ সংগীত সংস্থা। গত শনিবার ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘বিকেলে ভোরের ফুল’-এর সংগীত পরিবেশনা শ্রোতা-দর্শকদের নজর কাড়ে।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার গড়িয়া থেকে বারুইপুরগামী সড়কে রাজপুর-হরিনাভি পেরিয়ে যাওয়ার কিছু পরেই আসে পঞ্চবটী, মালঞ্চ ইত্যাদি অঞ্চলগুলি। সেই পঞ্চবটীতে রয়েছে ১৫৪ বছরের পুরোনো অন্নপূর্ণা মন্দির। ওই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা গৌরীপ্রসাদ মৈত্র। এই মৈত্র বংশের কন্যা ময়না ধর ‘বিকেলে ভোরের ফুল’ সংগীত সংস্থার অন্যতম কর্ণধার।
সে দিন কথা হচ্ছিল ময়না ধরের সঙ্গে। তিনি জানালেন, তাঁর বাবা ভূপেন্দ্রপ্রসাদ মৈত্র গৌরীপ্রসাদ মৈত্রের প্রপৌত্র। তিনি হরিনাভি হাইস্কুলে পড়ার সূত্রে সলিল চৌধুরীর সান্নিধ্যে আসেন। ময়না দেবীর সংগীতে অনুরাগ তাঁর পিতার সূত্রেই পাওয়া।
তিনি জানান, ‘বিকেলে ভোরের ফুল’ সংগীত সংস্থার বেশির ভাগ সদস্যই প্রবীণ। তাই এই সংস্থার নাম রাখা হয়েছে ‘বিকেলে ভোরের ফুল’। সংগঠনের বয়স হল দশ-এগারো বছর। দৈনন্দিন সাংসারিক নিত্যকর্মের চাপ থেকে একটু অবসর বার করে নিয়ে তাঁরা সংগীতসাধনায় মেতেছেন।
তাঁর কথায়, “কয়েক জন প্রবীণ মানুষ এক জায়গায় হলেই অবধারিত ভাবে এসে পড়ে শরীরের কথা। বয়স হলে নানা রোগব্যাধি আসবেই। কিন্তু নিজেদের পছন্দের জিনিস নিয়ে মেতে থাকলে ওই সব রোগব্যাধি ভুলে থাকা যায়। ‘বিকেলে ভোরের ফুল’-এর সদস্যদের বিনোদন হল সংগীতসাধনা। এই নিয়েই তাঁরা মেতে আছেন।”
সে দিন ‘জীবন সাথী মহিলা মহল’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুটি সম্মেলক গান পরিবেশন করে ‘বিকেলে ভোরের ফুল’ – একটি রবীন্দ্রসংগীত ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি’ এবং আর-একটি নজরুলগীতি ‘সংঘ-শরণ-তীর্থ যাত্রাপথে এসো মোরা যাই’। সংগীত পরিবেশন করেন ছন্দা চক্রবর্তী, ঝরনা ভট্টাচার্য, শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী, মৌমিতা চক্রবর্তী, কেয়া সরকার, প্রণতি মুখার্জি, মায়া মজুমদার ও ময়না ধর। তবলায় ছিলেন গৌতম ভট্টাচার্য। দুটি গানই শ্রোতা-দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়।
আরও পড়ুন
নজরুলের কবিতা খারিজ করেছিল প্রমথ চৌধুরীর ‘সবুজপত্র’, প্রকাশ করল রামানন্দের ‘প্রবাসী’