কলকাতা: ভোটগণনা শেষ হতে এখনও ঢের বাকি। তবে প্রবণতা বলছে, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটেও অব্যাহত সবুজ-ঝড়। এ বারের পঞ্চায়েত ভোটকে আগামী বছরের লোকসভা ভোটের জন্য একটা ‘লিটমাস টেস্ট’ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
সকাল থেকে শুরু হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটগণনা। তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে গণনা হবে। রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কার্যালয়গুলিতে ইতিমধ্যেই উদ্যাপন শুরু হয়েছে। উড়ছে সবুজ আবির, আসছে মিষ্টির বাক্স।
ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৭৪ হাজার আসনের জন্য এ দিন ভোট গণনা চলছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩,২২৯টি আসন ছাড়াও, ৯,৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতি আসন এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে।
এ দিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গণনা চলছে। সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ কর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী গণনা কেন্দ্রগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গণনাকেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, ভোট গণনায় অনিয়মেরও অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এক্সটেনশন পাওয়া মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং ডিজি মনোজ মালব্যের নেতৃত্বে এগুলি চলছে। এরা কত শক্তির সঙ্গে লড়বে? স্থানীয় এমএলএ এবং তৃণমূলের জল্লাদ ওসি, আইসি, বিডিও। তারই সঙ্গে আমলারা। এতজনের সঙ্গে মানুষ কী ভাবে লড়বে”।
অন্য দিকে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, পরাজয় টের পেয়ে বিজেপি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তিনি বলেন, “মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। অপমানজনক পরাজয় বুঝতে পেরেই নিজের সাংগঠনিক ব্যর্থতার জন্য ঠুনকো অজুহাত তুলে ধরছে। মুখ লুকনোর জন্য এটাই বিজেপির শেষ চেষ্টা”।
আরও পড়ুন: গ্রাম পঞ্চায়েতে একাধিপত্য তৃণমূলের, অনেকটা দূরে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি