কলকাতা: আদালতের হস্তক্ষেপে শেষমেশ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। পঞ্চায়েত ভোটের (west bengal panchayat election 2023) জন্য মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে রাজ্যে একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
নির্বাচন কমিশনের আবেদন মতো এর আগেই ২২ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: রাজীবের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল, ভোটের মুখে কমিশনার পদে নয়া টানাপোড়েন
মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ৫০ কোম্পানি, বিএসএফ ৬০ কোম্পানি, সিআইএসএফ ২৫ কোম্পানি, আইটিবিপি ২০ কোম্পানি, এসএসবি ২৫ কোম্পানি, আরপিএফ ২০ কোম্পানি। বাকি ১২টি রাজ্য থেকে ‘স্পেশাল আর্মড ফোর্স’ থাকবে ১১৫ কোম্পানি।
জানা গিয়েছে, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকে ১০ কোম্পানি করে পুলিশ আসবে রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ থেকে আসবে ২০ কোম্পানি করে পুলিশ। এছাড়া ত্রিপুরা, মিজোরাম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ও মহারাষ্ট্র থেকে ৫ কোম্পানি করে বাহিনী আসছে।
আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। ফলে হাতে সময় মেরেকেটে সপ্তাহ দুয়েকের মতো। কিন্তু একসঙ্গে কেন ৮০০ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জল্পনা ছড়াচ্ছে, তা হলে কি পঞ্চায়েত ভোট একাধিক দফায় করার ‘চাপ’ দিতেই একসঙ্গে সব বাহিনী মোতায়েন করছে না কেন্দ্র?
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখার কথা বলেছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। পরে মামলা হলে কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন। সেখানেও হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল থাকে।
মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়ায় হাইকোর্টে রীতিমতো ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় নির্বাচন কমিশন তথা কমিশনারকে। বুধবার এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছিল কমিশনকে। সেই নির্দেশ অনুসারে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, অন্তত সেই সংখ্যক তার বেশি আধাসেনা জওয়ান এ বারের ভোটেও মোতায়েন করতে বলেছিল আদালত।