তিন মাস আগে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জিতেছিলেন বাইরন বিশ্বাস। সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি নাম লেখালেন তৃণমূলে। বাইরনের দলবদলে অনেকে নীতির প্রশ্নও তুলছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, মাত্র ক’মাস আগেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেও কেন ভিড়লেন জোড়াফুল শিবিরে।
দলবদলের পর এবিপি আনন্দ-র কাছে বাইরন বলেন, “আমি কংগ্রেসে থেকে ভালো ভাবে কাজ করতে পারছিলাম না। যেমন জনগণের সেবা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন। আমি যদি কোনো উন্নয়নই না করতে পারি, তা হলে বিধায়ক থেকে করব কী? তাই সবদিক চিন্তাভাবনা করেই দেখলাম যে জনগণের কাজ করার জন্য তৃণমূল প্ল্যাটফর্মটাই সেরা। আর জনগণের ভোটেই আমি জয়ী হয়েছি। জনগণের সেবা করতে চাই”।
বাম সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে জেতার তিন মাসের মধ্যেই দলবদল সম্পর্কে বায়রন বলেন, “আমি প্রথম থেকেই তৃণমূলের টিকিটে লড়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনো কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু জেতার পর থেকে আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ভেবেছি। সেই মতোই আজকে তৃণমূলে যোগ দিলাম। …আমি রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে নই। তাই রাজনীতি ভালো করে বুঝতাম না। কিন্তু এখন যতদিন যাচ্ছে বুঝতে পারছি যে শাসক দল ছাড়া রাজনীতি করাই যাবে না। মানে মানুষের উন্নয়ন করা যাবে না”।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয়। ২ মার্চ ফল বেরোলে দেখা যায় কুড়ি হাজারেরও বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন। নিজের সেই জয় প্রসঙ্গে বাইরন এ দিন বলেন, ‘‘আমি আসলে তৃণমূলেরই লোক। তাদের সমর্থন না পেলে আমি এত বেশি ভোটে জিততে পারতাম না’’।
বলে রাখা ভালো, বাইরনের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ”আমি দল ভাঙাইনি। বাইরন নিজে এসে নবজোয়ার মঞ্চে এই ঘাটালে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েছে। আমি দল ভাঙাতে চাইলে সাগরদিঘিতে দাঁড়িয়েই বাইরন বিশ্বাসকে যোগ দেওয়াতাম। কিন্তু আমি সেটা করিনি। আমার দল ভাঙানোর হলে একটা বোতাম টিপলে একাধিক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে চলে আসবেন। কিন্তু আমরা সৌজন্যতার খাতিরে এসব করি না”।
আরও পড়ুন: বিনা মূল্যে আইনি পরামর্শ দিচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকরা