অস্ট্রেলিয়া: ২৮৬ (৪৯.৩ ওভার) (মার্নাস লাবুশানে ৭১, ক্যামেরন গ্রিন ৪৭, ক্রিস ওকস ৪-৫৪, আদিল রশিদ ২-৩৮)
ইংল্যান্ড: ২৫৩ (৪৮.১ ওভার) (বেন স্টোকস ৬৪, ডাউইড মালান ৫০, অ্যাডাম জাম্পা ৩-২১, প্যাট কামিন্স ২-৪৯)
অমদাবাদ: হারতে হারতে মনের জোরটা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া মাঝারি মানের লক্ষ্যমাত্রাও তাড়া করে জিততে পারল না ইংল্যান্ড। টানা ৬ ম্যাচে হারল। ৭ ম্যাচ থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট সংগ্রহ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
আর টানা ৫টি ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ৭ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। এ দিনের জয়ের পর সেমিফাইনালের দিকে এক-পা বাড়িয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতে ২৮৬ রানে ইনিংস শেষ করে তারা। ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করেন। প্রত্যুত্তরে ইংল্যান্ডের ইনিংস ১১ বল বাকি থাকতেই ২৫৩ রানে শেষ হয়ে যায়। ফলে অস্ট্রেলিয়া জিতে যায় ৩৩ রানে। ২১ রানে ৩ উইকেট দখল করে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ অ্যাডাম জাম্পা। এর সঙ্গে ৩৮টা রানও করেছিলেন জাম্পা।
শুরুতে বিপাকে অস্ট্রেলিয়া
৩৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্রিস ওকস-এর বলে ফিরে যান ট্র্যাভিস হেড এবং ডেভিড ওয়ার্নার। হেড সরাসরি বোল্ড হন আর ওয়ার্নার ক্যাচ দেন ডেভিড উইলিকে। এই অবস্থাকে থেকে দলকে উদ্ধার করেন স্টিভ স্মিথ এবং মার্নাস লাবুশানে। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৭৫ রান।
শেষ পর্যন্ত দলের ১১৩ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান স্টিভ স্মিথ। ৫২ বলে ৪৪ রান করে আদিল রশিদের বলে মইন আলিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৪ রানের মধ্যেই আবার বিপর্যয়। জোশ ইংলিস একই ভাবে আউট হন। ৪ উইকেটে ১১৭ রান করে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে উদ্ধার করার দায়িত্ব বর্তায় লাবুশানে এবং ক্যামেরন গ্রিনের উপর। তাঁরা পঞ্চম উইকেটে জুটিতে যোগ করেন ৬১ রান।
দলের ১৭৮ রানের মাথায় মার্ক উডের শিকার হন লাবুশানে। ৮৩ বলে ৭১ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এর পর গ্রিনের সঙ্গে জোট বাঁধেন মার্কাস স্টয়নিস। দু’জনে দলের রান নিয়ে যান ২২৩-এ। এর পর ঘন ঘন ৩টি উইকেট পড়ে যায়। প্যাভিলিয়নে ফিরে যান গ্রিন, স্টয়নিস এবং প্যাট কামিন্স। নবম উইকেটে মিচেল স্টার্ক এবং অ্যাডাম জাম্পা ৩৮ রান যোগ করেন। কিন্তু দলের ২৮৫ রানে জাম্পা আউট হওয়ার পরেই ২৮৬ রানে আউট হয়ে যান তাঁর সঙ্গী মিচেল স্টার্ক। ৩ বল বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়া অল আউট হয়ে যায় ২৮৬ রানে।
৩৩ রান আগেই শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্যমাত্রা ২৮৭ রান তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ড প্রথম বলেই জনি বেয়ারস্টোকে হারায়। এর পর দলের ১৯ রানে জো রুট আউট হয়ে যাওয়ার পর দলের উইকেট পতন রোধ করেন ডাউইড মালান এবং বেন স্টোকস। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৮৪ রান। দলের ১০৩ রানের মাথায় ডাউইড মালানকে তুলে নেন অ্যাডাম জাম্পা। ৬৪ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি। দলের স্কোরের সঙ্গে ৩ রান যোগ হওয়ার পরে আউট হয়ে যান অধিনায়ক জোস বাটলার।
এর পর উইকেট পতন কিছুটা রোধ করেন বেন স্টোকস এবং মইন আলি। ৯০ বলে ৫০ রান করে স্টোকস যখন আউট হন দলের রান তখন ১৬৯। এর পর ইংল্যান্ড তাদের শেষ ৫ উইকেটে যোগ করে ৮৪ রান। উল্লেখযোগ্য রান মইন আলির (৪৩ বলে ৪২ রান এবং ক্রিস ওকসের (৩৩ বলে ৩২ রান)। আপ্রাণ চেষ্টা করেও ৩৩ রানে হেরে গেল ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন