বাংলাদেশ: ১২৭ (১৯.৫ ওভারে) (মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৫ নট আউট, নাজমুল হোসেন শান্ত ২৭, অর্শদীপ সিং ৩-১৪, বরুণ চক্রবর্তী ৩-৩১)
ভারত: ১৩২-৩ (১১.৫ ওভারে) (হার্দিক পাণ্ড্য ৩৯ নট আউট, সূর্যকুমার যাদব ২৯, সঞ্জু স্যামসন ২৯, মেহেদি হাসান মিরাজ ১-৭)
গ্বালিয়র: ভারতের তরুণ দলের কাছে হার মানল বাংলাদেশের অভিজ্ঞ দল। টি২০ ম্যাচে মাত্র ১১.৫ ওভারেই জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। এর জন্য মূল কৃতিত্ব পেসার অর্শদীপ সিং এবং স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর। অর্শদীপ-বরুণের বোলিংয়ের তাণ্ডবে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারের ১ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেল ১২৭ রানে। ভারতের হার্দিক-সূর্যকুমার-সঞ্জু সেই রান তুলে ফেললেন ৪৯ বল বাকি থাকতে। মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করে এদিন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন অর্শদীপ সিং। এদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হল ভারতের ময়াঙ্ক যাদব এবং নীতীশ কুমার রেড্ডির।
৩টি করে উইকেট নিলেন অর্শদীপ-বরুণ
রবিবার গ্বালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ করে বাংলাদেশ। ১৪ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান দুই ওপেনার লিটন দাস এবং পারভেজ হোসেন ইমন। দুজনকেই তুলে নেন অর্শদীপ সিং। পারভেজকে বোল্ড করেন আর লিটন ক্যাচ দেন রিঙ্কু সিংকে।

জয়ী ভারত। ছবি BCCI ‘X’ থেকে নেওয়া।
এরপর দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তাওহিদ হৃদয় দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ২৬ রান। দলের ৪০ রানে হৃদয় (১৮ বলে ১২ রান) ফিরে যান বরুণ চক্রবর্তীর বলে হার্দিক পাণ্ড্যকে ক্যাচ দিয়ে। এরপরেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। একমাত্র অষ্টম উইকেটের জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ আর তাসকিন আহমেদ আবার ইনিংসে কিছুটা থিতু আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাসকিনের। দলের ১১৬ রানের মাথায় তিনি রান আউট হন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১২৭ রানে। তখনও ১ বল বাকি ছিল নির্ধারিত ২০ ওভারের। মেহেদি হাসান মিরাজ ৩২ বলে ৩৫ রান করে নট আউট থাকেন। ৩টি করে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং (১৪ রান দিয়ে) এবং বরুণ চক্রবর্তী (৩১ রান দিয়ে)। বাকি ৩টি উইকেট ভাগ করে নেন হার্দিক পাণ্ড্য, ময়াঙ্ক যাদব এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।
ঝড়ের বেগে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোল ভারত
জয়ের জন্য ১২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোতে ঝড়ের বেগে রান তাড়া করতে শুরু করে ভারতের দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মা। প্রথম ২ ওভারে তাঁরা তোলেন ২৫ রান। দুর্ভাগ্য অভিষেকের। ৭ বলে ১৬ রান করে রান আউট হয়ে যান। সঞ্জুকে সঙ্গ দিতে নামেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তাঁরা দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ৪০ রান। সেই ৪০ রান আসে মাত্র ২১ বলে। সঞ্জুর চেয়ে সূর্যকুমার বেশি বিধ্বংসী ছিলেন। দলের ৬৫ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে জাকের আলিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সূর্যকুমার (১৪ বলে ২৯ রান)।
রান ওঠার গতি কিন্তু কমেনি। পরবর্তী ১৪ বলে ১৫ রান যোগ হয় তৃতীয় উইকেটের জুটিতে। ১৯ বলে ২৯ রান করে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে সঞ্জু যখন ফিরে যান ভারতের স্কোর তখন ৮০। এর পর হার্দিক পাণ্ড্য (১৬ বলে ৩৯ রান) এবং নীতীশ কুমার রেড্ডি (১৫ বলে ১৬ রান) ভারতকে জয়ে পৌঁছে দেন। তখন সবেমাত্র নির্ধারিত ২০ ওভারের ১১.৫ ওভার হয়েছে। ভারত জিতে গেল ৭ উইকেটে।