পাকিস্তান: ১০৫-৮ (নিদা দর ২৮, অরুন্ধতী রেড্ডি ৩-১৯, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল ২-১২)
ভারত: ১০৮-৪ (১৮.৫ ওভারে) (শেফালি বর্মা ৩২, হরমনপ্রীত কৌর ২৯ অবসৃত, ফতিমা সানা ২৩-২)
দুবাই: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে মহিলা টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের নেট রানরেট ছিল –২.৯০। এবারের বিশ্বকাপে লড়াইয়ে থাকতে হলে এবং পয়েন্টস টেবিলে এগিয়ে যেতে হলে রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের দরকার ছিল। শুধু তা-ই নয়, বিরাট ব্যবধানে জয়ের দরকার ছিল। জয় এল ভারতের। তবে খুব যে বিরাট ব্যবধানে, তা নয়।
এদিন ৭ বল বাকি থাকতে ভারত জয় পেল ৬ উইকেটে। এর জন্য মূল কৃতিত্ব অরুন্ধতী রেড্ডি আর শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের। তাঁরা তাঁদের বোলিংয়ের জোরে পাকিস্তানকে ১০৫ রানে বেঁধে রাখতে সমর্থ হন। তারপর ব্যাট করতে নেমে ভারত জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় অন্যতম ওপেনার শেফালি বর্মা এবং অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ব্যাটিংয়ের দৌলতে। ১৯ রানে ৩ উইকেট দখল করে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন অরুন্ধতী রেড্ডি।
পাকিস্তান গুটিয়ে গেল ১০৫ রানে
রবিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় পাকিস্তান। প্রথম ওভারের শেষ বলে রেণুকা সিং বোল্ড করেন গুল ফিরোজাকে (০ রান)। এরপর মুনিবা আলি এবং সিদ্রা আমিন দলের পতন কিছুটা রোধ করার চেষ্টা করেন। দলের ২৫ রানে দীপ্তি শর্মার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান আমিন। এরপর থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। উইকেটগুলো ভাগাভাগি করে নেন অরুন্ধতী আর শ্রেয়াঙ্কা। এরই মধ্যে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মুনিবা (২৬ বলে ১৭ রান) এবং নিদা দর।

হরমনপ্রীত আহত। ছবি T20 World Cup ‘X’ থেকে নেওয়া।
৭১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভারতের আক্রমণ আবার কিছুটা ঠেকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। সায়েদা আরুব শাহকে সঙ্গী করে নিদা দর অষ্টম উইকেটের জুটিতে ২৮ রান যোগ করেন। ৩৪ বলে ২৮ রান করে নিদা অরুন্ধতীর বলে বোল্ড হন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান পৌঁছোয় ১০৫ রানে। ১৭ বলে ১৪ রান করে সায়েদা নট আউট থাকেন।
বেশ মারকুটে ছিলেন শেফালি, হরমনপ্রীত
জয়ের জন্য ১০৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ভারতের অন্যতম ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা দলের ১৮ রানে আউট হয়ে যান। এবারের বিশ্বকাপে কিন্তু স্মৃতির কাছ থেকে প্রত্যাশিত খেলাটা পাওয়া যাচ্ছে না। নিজেকে গুটিয়েও রাখছেন। ১৬ বলে ৭ রান করে সাদিয়া ইকবালের বলে তুবা হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্মৃতি। এরপরে দলের হাল ধরেন শেফালি বর্মা এবং জেমিমা রডরিগুয়েজ। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৪৩ রান। দলের ৬১ রানে ফিরে যান শেফালি। বেশ মারকুটে ছিলেন তিনি। ৩৫ বলে ৩২ রান করে ওমাইমা সোহেলের বলে আলিয়া রিয়াজকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শেফালি।
এরপর কিছুটা জেমিমা এবং বাকিটা অধিনায়ক হরমনপ্রীতের ব্যাটিংয়ের জোরে ভারত জয়ে পৌঁছোয়। ২৮ বলে ২৩ রান করে জেমিমা যখন আউট হন জয় তখনও ২৬ রান দূরে। জেমিমা আউট হওয়ার পর নামেন রিচা ঘোষ। কিন্তু রিচা একটি বলও খেলতে না পেরে আউট হয়ে যান। জেমিমা আর রিচাকে তুলে নেন ফতিমা সানা। বাকি কাজটা দীপ্তি শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে সমাধা করেন হরমনপ্রীত। বেশ বিধ্বংসী মেজাজে খেলছিলেন হরমনপ্রীত। ২৪ বলে ২৯ রান করে নিদা দরের বলে হরমনপ্রীত আহত হয়ে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তখন ভারতের জয় আর মাত্র ২ রান দূরে। হরমনপ্রীতের জায়গায় নামেন সজীবন সজানা। নিদার পরের বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ভারতকে জিতিয়ে দেন সজানা।