Home খেলাধুলো ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: রাচিন-কেনের শতরানে ভর করে নিউজিল্যান্ড ফাইনালে, ভারতের মুখোমুখি   

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: রাচিন-কেনের শতরানে ভর করে নিউজিল্যান্ড ফাইনালে, ভারতের মুখোমুখি   

জয়ের দুই কান্ডারি রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন। ছবি ICC 'X' থেকে নেওয়া।

নিউজিল্যান্ড: ৩৬২-৬ (রাচিন রবীন্দ্র ১০৮, কেন উইলিয়ামসন ১০২, লুঙ্গি এনগিডি ৩-৭২, কাগিসো রাবাদা ২-৭০)

সাউথ আফ্রিকা: ৩১২-৯ (ডেভিড মিলার ১০০ নট আউট, রাসি ফান ডেয়ার ডুসেন ৬৯, মিচেল স্যান্টনার ৩-৪৩, গ্লেন ফিলিপ্‌স ২-২৭)

লাহোর: পারলেন না ডেভিড মিলার। তাঁর দুরন্ত সেঞ্চুরি বাঁচাতে পারল না প্রোটিয়াদের। তার আগেই তো নিজেদের ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন রাচিন রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসন। তাঁদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে কিউয়িরা পৌঁছে গিয়েছিল ৬ উইকেটে ৩৬২ রানে। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে প্রোটিয়ারা থেমে যায় ৯ উইকেটে ৩১২ রানে। শেষ পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে নিঊজিল্যান্ড এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পৌঁছে গেল ফাইনালে।

১০১ বলে ১০৮ রান করে রাচিন রবীন্দ্র ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন। আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।

কিউয়ি ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি  

বুধবার লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় নিউজিল্যান্ড। দলের ৪৮ রানে লুঙ্গি এনগিডির বলে আইডেন মার্করামকে ক্যাচ দিয়ে উইল ইয়ং (২৩ বলে ২১ রান) প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে দলের হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ১৬৪ রান যোগ করে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন রাচিন ও কেন। দু’জনেই শতরানের গণ্ডি পেরিয়ে যান। ১০১ বলে ১০৮ রান করে ফিরে যান রবীন্দ্র এবং কেন করেন ৯৪ বলে ১০২ রান। রাচিন ও কেন প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর বাকি কাজটুকু সমাধা করেন ড্যারিল মিচেল (৩৭ বলে ৪৯ রান) এবং গ্লেন ফিলিপ্‌স (২৭ বলে ৪৯ নট আউট)। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে কিউয়িরা করে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান।

মিলারের শতরান ব্যর্থ

জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তাড়া করতে গিয়ে রায়ান রিকলটন দলের ২০ রানে ফিরে গেলে দলের পতন আটকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং রাসি ফান ডেয়ার ডুসেন। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ১০৫ রান। দলের ১২৫ রানে বাভুমা (৭১ বলে ৫৬ রান) এবং ১৬১ রানে ডুসেন (৬৬ বলে ৬৯ রান) ফিরে যাওয়ার পর ঘন ঘন উইকেট পড়তে থাকে। মাত্র ৬ রান যোগ হওয়ার পর ফিরে যান হাইনরিখ ক্লাসেন। আইডেন মার্করামের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেভিড মিলার। একা মিলার লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে ঘন ঘন উইকেট পড়তেই থাকে। মিলার একার দক্ষতায় দলকে টেনে নিয়ে যান ৩১২-তে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট পড়ে যায়। মিলারের মারকাটারি ব্যাট থেকে মাত্র ৬৭ বলে শতরান করেন। কিন্তু দলের পরাজয় আটকাতে পারলেন না।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version