Home খবর রাজ্য আমতার খড়িয়প গ্রামে শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহার আশ্রমে শ্রীরামকৃষ্ণ উপাসনালয়ের দ্বারোদ্ঘাটন

আমতার খড়িয়প গ্রামে শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহার আশ্রমে শ্রীরামকৃষ্ণ উপাসনালয়ের দ্বারোদ্ঘাটন

খবর অনলাইন প্রতিনিধি: সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল হাওড়ার আমতার কাছে খড়িয়প গ্রামে শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহার আশ্রমে শ্রীরামকৃষ্ণ উপাসনালয়ের দ্বার। গত শনিবার ১ মার্চ শ্রীরামকৃষ্ণের ১৯০তম জন্মতিথিতে এই উপাসনালয়ের আনুষ্ঠানিক দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়। প্রারম্ভিক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের পরে যথাবিহিত উপাচার ও পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে উপাসনালয়ের দ্বার উন্মোচন করেন আশ্রমের আচার্য শ্রীমৎ স্বামী সম্বুদ্ধানন্দ।

আনুষ্ঠানিক দরজা খুলে দেওয়ার পরেই মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণের পুজো করে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। আরতি সুসম্পন্ন হয়।   

স্বামী বিবেকানন্দের বড়দিদি হারামণির শ্বশুরবাড়ি বসু পরিবারের জমিতে ১৯৯৫ সালে গড়ে ওঠে শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহার। ২০১৫ সালে বসুন্ধরা পুজোর মাধ্যমে এখানে উপাসনালয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালে দুর্গাষষ্ঠীর শুভ লগ্নে নির্মীয়মাণ মন্দিরে মূল বেদি রচিত হয়।

উপাসনালয়ের দ্বারোদ্ঘাটন উপলক্ষে প্রেমবিহারে চার দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। উৎসব শুরু হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি, চলে ৩ মার্চ পর্যন্ত। এই উৎসবে রোজই ছিল ধর্ম প্রসঙ্গে শ্রীমৎ স্বামী সম্বুদ্ধানন্দের আলোচনা। তা ছাড়া প্রথম দিন সকালে বাস্তুপূজার পরে শোভাযাত্রা বেরোয়। কয়েক কিলোমিটার পরিক্রমা করে সেই শোভাযাত্রা আশ্রমে ফেরে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ।

শনিবার থেকে সোমবার, ৩ মার্চ পর্যন্ত রোজই বসে গানের আসর। শনিবারের আসরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন পূর্ণ দাস বাউল, তাঁর পুত্র দিব্যেন্দু দাস বাউল, শম্পা কুণ্ডু, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্র রায় প্রমুখ। রবিবার উপস্থিত ছিলেন হৈমন্তী শুক্লা, শ্রাবণী সেন, মনোময় ভট্টাচার্য প্রমুখ। দু’ দিনই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দেবাশিস বসু।

তৃতীয় তথা শেষ দিন সোমবার সন্ধ্যায় গানের আসরে উপস্থিত ছিলেন শৌনক চট্টোপাধ্যায়। এ দিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ড. হরেকৃষ্ণ হালদার ও তাঁর সম্প্রদায়ের শ্রীখোল বাদন এবং হরিনাম সংকীর্তন।     

বাংলার ফুটবলের হালহকিকত নিয়ে সোমবার দুপুরে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে যোগ দেন সত্তর-আশির দশকের বাংলার কিংবদন্তি ফুটবলাররা এবং বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিকরা। আলোচনাসভায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন গৌতম সরকার, মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, শিশির ঘোষ, ভাস্কর গাঙ্গুলি এবং বাংলা ক্রীড়া সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ রূপক সাহা। উপস্থিত ছিলেন আজীবন সবুজ-মেরুন সুব্রত ভট্টাচার্যও। আলোচনাসভাটি সঞ্চালনা করেন আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন ক্রীড়া সাংবাদিক সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version