সত্যিই কি, আফগান ক্রিকেটার রশিদ খানকে আর্থিক পুরষ্কার দিচ্ছেন শিল্পপতি রতন টাটা? এ বিষয়ে জোর জল্পনা চলছে একাংশের সংবাদ মাধ্য়ম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোলসা করলেন স্বয়ং রতন টাটা।
নিজের অফিসিয়াল এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি জারি করেছেন রতন টাটা। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান সেখানেই জানিয়েছেন তিনি মোটেই রশিদ খানকে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেননি। চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এ একটি ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তান জিতেছে। আর তার পরই এ ধরনের জল্পনা ছড়াচ্ছে।
শিল্পপতি বলেছেন, “ক্রিকেটের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই” তাঁর। বেশ কিছু মানুষ হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রান্তিকর মেসেজ ফরোয়ার্ড করছেন। সেগুলিতে বিশ্বাস করা উচিত নয়। রতন টাটার কথায়, “আমি আইসিসি বা কোনো ক্রিকেট সংগঠনের কাছে কোনো ক্রিকেট খেলোয়াড়কে জরিমানা বা পুরস্কৃত করার ব্যাপারে কোনো পরামর্শ দিইনি। ক্রিকেটের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। অনুগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপে ফরোয়ার্ড মেসেজ এবং এই ধরনের ভিডিয়োয় বিশ্বাস করবেন না।”
প্রচুর সংখ্যক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী পুরস্কারের বিষয়টি নিয়ে বেশ সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মনগড়া মন্তব্য ছড়াচ্ছেন। কেউ লিখছেন, “আমি শ্রী রতন টাটাকে অভিনন্দন জানাই। আইসিসি ৫৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে রশিদ খানকে। এমন পরিস্থিতিতে রতন টাটা তাঁকে পুরস্কৃত করার ধন্যবাদ”।
প্রসঙ্গত, দু’দশক পরে ফের তালিবানি শাসন গ্রাস করেছে আফগানদের। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিপদে দেশবাসীর পাশে দাঁড়াতে চান, এই বার্তা দিতে এ বার নিজের মুখে আফগানিস্তানের পতাকা এঁকে খেলার মাঠে নেমেছিলেন রশিদ। কাবুল যখন তালিবানের দখলে, তখন রশিদের এই জাতীয় পতাকা আঁকার দৃশ্য রীতিমতো সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, তালিবানের নিজস্ব একটি পতাকা রয়েছে। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন, পাকিস্তানকে হারানোর পর রশিদ খান না কি নিজের বুকে ভারতীয় পতাকা রাখার জন্য আইসিসি তাঁকে ৫৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩: ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করলেন শামি-বুমরাহ, ১০০ রানে জিতে ভারত ছয়ে ছয়